হাওড়া স্টেশন ও ধূলাগড় থেকে উদ্ধার ৩০০ কেজি গাঁজা, ধৃত ২ মহিলা সহ ৩
বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়ার দুই প্রান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হওয়ায় এর পিছনে পাচার চক্রের যোগের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। বুধবার সকালে সাঁকরাইলে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ধুলোগড় টোল প্লাজার কাছে একটি মুরগি বোঝাই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে হাওড়া সিটি পুলিস। এর দু’দিন আগে গত সোমবার হাওড়া স্টেশনে আরপিএফের অভিযানে ধরা পড়ে ৬৫ কেজি গাঁজা। দুই মহিলা ট্রলি ব্যাগে করে ওই পরিমাণ গাঁজা নিয়ে যাচ্ছিল। দু’টি ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন সকালে সাঁকরাইলে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ধুলোগড় টোল প্লাজার কাছে অভিযান চালায় পুলিস। মুরগি বোঝাই একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা সেটিকে আটকে তল্লাশি চালালে ৯৯টি গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার হয়। এগুলি মুরগির ঝাঁকার পিছনে রাখা ছিল। উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ ২৩৫ কেজি। সবকটি প্যাকেটই সিল করা ছিল। গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেরায় সে বলেছে, দীঘায় এক ব্যক্তি তার গাড়িতে এই প্যাকেটগুলি তুলে দেন। এই গাড়ি নিয়ে তার বনগাঁয় যাওয়ার কথা ছিল। ওই ব্যক্তি সেখানে পৌঁছে প্যাকেটগুলি নিয়ে নেবেন বলেছিলেন। কিন্তু এক অচেনা ব্যক্তি কেন গাড়ির চালকের হাতে এতগুলি প্যাকেট তুলে দিলেন? কেনই বা তিনি নিলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি ওই চালক। ওই চালক ছাড়াও তার বয়ানের ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এই গাজার সঙ্গে আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দু’দিন আগে গত সোমবার হাওড়া স্টেশন থেকে গাঁজা সহ দুই মহিলাকে পাকড়াও করে আরপিএফ। ওই মহিলারা ট্রলি ব্যাগ হাতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল স্টেশনে। বিষয়টি নজরে আসে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তখন ব্যাগ দু’টি তল্লাশির জন্য খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয় তাঁদের। ভিতরে থরে থরে সাজানো গাঁজার প্যাকেট। সব মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৬৫ কেজি গাঁজা। ওই দুই মহিলাকে এরপর নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় গাঁজা ভর্তি দু’টি ট্রলি ব্যাগও। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও হাওড়া স্টেশন থেকে একাধিকবার গাঁজা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। পাচার চক্র রেল স্টেশনকে ব্যবহার করে কারবার চালাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।