সংবাদদাতা, বারুইপুর: সুন্দরবনের রায়দিঘিতে পর্যটনের বিকাশ ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। ইতিহাস প্রসিদ্ধ জাতীয় সৌধ জটার দেউল। এই জটার দেউলের চারপাশ কীভাবে সাজিয়ে তোলা যায়, বুধবার তা পরিদর্শন করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা সহ জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। ছিলেন রায়দিঘির বিধায়ক ডাঃ অলোক জলদাতা। পাশাপাশি, রায়দিঘির দিঘির পাশে ইকো টুরিজ্যম পার্কও ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, কেমন করে সাজানো যায় এই পর্যটনকেন্দ্রগুলি, তা খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন। ইকো টুরিজ্যম পার্কে ক্যাফেটেরিয়া, শিশুদের জন্য পার্ক, দিঘির জলে প্যাডেল বোট চালুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আর জটার দেউলে রাত্রিযাপনের জন্য হোম স্টে যদি হয়, সেই বিষয়েও আলোচনা চলছে। জটার দেউল সংলগ্ন রাস্তা সংস্কার করা হবে। অন্যদিকে, বিধায়ক ডাঃ অলোক জলদাতা বলেন, জটার দেউল ও ইকো টুরিজ্যম পার্ক নিয়ে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসক নিজে দেখে গেলেন এই জায়গা। জটার দেউল সংলগ্ন এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা, মানুষের বসার জায়গা সবই করা হবে। রায়দিঘি বিধানসভার কঙ্কণদিঘি পঞ্চায়েতের পশ্চিম জটা গ্রামে জটার দেউল নামে শিবমন্দির অবস্থিত। কেন্দ্রের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এটিকে জাতীয় সৌধ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৯ সালে প্রাক্তন সাংসদ এবং তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চৌধুরী মোহন জাটুয়া মন্দিরের খননকাজ করিয়েছিলেন। তখন পাথরের মূর্তি সহ নানা সামগ্রী পাওয়া গিয়েছিল। এই মন্দিরে দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন এলেও তাঁদের বসার জায়গা নেই। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। পুরাতত্ত্ব আইন অনুযায়ী, মন্দিরের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও নির্মাণ কাজ করা যাবে না। তাই কাজ আটকে যায়। এদিন জেলাশাসক বলেন, ওই সীমার বাইরে থেকেই উন্নয়নের কাজ করা হবে। পাশাপাশি, প্রায় ৭০ বিঘা জমিতে তৈরি ইকো টুরিজ্যম পার্কের আরও উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। জটার দেউল পরিদর্শনে প্রশাসনের কর্তারা। -নিজস্ব চিত্র