• রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা সেঞ্চুরি পার করল, বিধানসভায় তথ্য দিলেন মন্ত্রী
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ জুলাই ২০২৪
  • সম্প্রতি বন দফতর খবর পায় বাঘের উপদ্রব বেড়েছে। তখন খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এই উপদ্রবের কারণ বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। তাও আবার যে সে বাঘ নয়। একেবারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সুন্দরবনে এই সংখ্যা বেড়েছে বলে খবর। তাই দক্ষিণরায়দের চলাফেরা বেড়ে গিয়েছে। এটাই বুঝতে পেরেছেন সুন্দরবনের মানুষজন। এখন খুব সতর্ক থাকতে হচ্ছে মাছ ধরার ক্ষেত্রে। কারণ কখন যে ঘাড়ে এসে পড়বে বাঘের থাবা কেউ তা জানে না। এবার এই খবরের সত্যতা মিলল বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার দেওয়া পরিসংখ্যানে।

    মন্ত্রী মেনে নিয়েছেন রাজ্যে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। আর এই তথ্য তিনি স্বীকার করেন খোদ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে। মঙ্গলবার বাঘের সংখ্যা বাড়ার তথ্য দিয়েছেন খোদ বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন সুন্দরবনেই রয়েছে ১০১টি বাঘ। আর বক্সার জঙ্গলে যে পরিমাণ বাঘ ছিল তার থেকে আরও একটি বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। এই বিষয়ে বিধানসভায় বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা বলেন, ‘‌২০১০ সালে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ছিল ৭৪টি। ২০১৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৭৬। ২০১৮ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৮৮। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০১।’‌ চার বছর অন্তর বাঘশুমারি হয়। সেখানেই এই তথ্য উঠে এসেছে।

    বেশ কিছুদিন আগে একটা উদ্বেগজনক খবর এসেছিল। সেটা হচ্ছে, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা কমছে। তখন থেকেই উদ্যোগ নিয়েছিল বন দফতর। তার উপর বন দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন জেলে। তাই দায়িত্ব নিতে হয় বীরবাহা হাঁসদা এবং তাঁর দফতরকে। এবার এল ভাল খবর। বাঘের সংখ্যার বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি পরিবেশবিদরাও। তাঁদের মত, বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির উপর নির্ভর করে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ৷ তাই বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সত্যিই খুব ভাল খবর। আর বাঘশুমারিতে বন দপতরের কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও সাহায্য করেন। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পে ক্যামেরা ট্র্যাপ বিশেষ কাজে দিয়েছে। তাই বীরবাহা বলেন, ‘‌আমরা বাঘকে খাওয়ানোর জন‌্য মিষ্টি জল দিই। বাঘের গতিবিধির উপর ক‌্যামেরার নজর রয়েছে।’‌

    এই খবরের পর আরও উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর। বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক অনুপকুমার সাহা বনমন্ত্রীর কাছে জানান, এলাকায় বাঁদর–হনুমানের উপদ্রব বেড়েছে। তা ঠেকাতে রাজ্য সরকারের কোনও পরিকল্পনা আছে কি?‌ তখন বনমন্ত্রী বলেন, ‘‌বাঁদর ধরার জন‌্য জাল ও খাঁচা দুই আছে। আর যাঁরা ধরেন তাঁরাও প্রশিক্ষিত। তাছাড়া কেউ যদি বন‌্যপ্রাণীর আক্রমণে কেউ মারা যান তাহলে তাঁর জন‌্য সরকার পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ব‌্যবস্থা রেখেছে। এমনকী পরিবারের একজনের চাকরিটিও বিবেচনাধীন আছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)