গত ৩০ জুন উত্তদিনাজপুরে হইচই ফেলে দেয় জেসিবি নামে এক ব্যক্তির তালিবানি বিচার। সালিশি সভা ডেকে এক তরুণ ও তরুণীকে বেধড়ক মারধর করে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তি। এনিয়ে এমনিতেই অস্বস্তিতে ছিল পুলিস। এবার গতকাল চোপড়ার আমতলায় রেইড করতে যায় পুলিস। সেখানেই তাদের উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাদের উপরে হমালা চালানো হয়। ওই হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন ৪ পুলিস কর্মী। জানা যাচ্ছে আমতলার এক দাপুটে নেতার বাড়়িতে রেইড করতে গিয়েছিল পুলিস। তখনই তাদের উপরে হামলা হয়। পুলিসের উপরে হামলা চালায় মহিলারাও।
এখনওপর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে পুলিস কেন ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির বাড়িতে রেইড করতে গিয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। পুলিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রেইড করতে গিয়েই ওই গোলমাল-হামলা।
ওই হামলা নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। আগামী দিনে গোটা রাজ্যে এরকম ঘটনা দেখা যাবে। এই মুহূর্তে সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলার কিছু অঞ্চল রয়েছে যার উপরে পুলিসের নিয়ন্ত্রণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীও যদি পুলিস নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান তাহলেও তিনি অবস্থার খুব একটা বদল করতে পারেবন না। এর সঙ্গে মৌলবাদের যোগসাজস আছে, সীমান্তের ওপারের যোগসাজস আছে। পুলিসকে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে। সত্য সামনে এলে এই সরকারটা বেশিদিন টিকে থাকবে না।
এনিয়ে সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী পুলিস, তাদেরকে আর গ্রাহ্য করা হচ্ছে না। এই যে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে পুলিস দুর্নীতিতে সহায়তা করেছে। তৃণমূলের নেতাদের কথায় ওঠাবসা করেছেন। তাই মানুষ মনে করেছে পুলিস কিছু নয়। যেখানেই পুলিস যাচ্ছে সেখানেই আক্রান্ত হচ্ছে। পুলিসমন্ত্রীর উচিত পদত্যাগ করা। চেতলা থেকে শুরু হয়েছিল। সব জায়গায় আক্রান্ত পুলিস। রাজনীতির সঙ্গে পুলিসের সখ্য যতদিন বন্ধ না হবে ততদিন এরকম হবে।