মালদায় ব্যাঙ্ক ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড কে? পুলিশের জালে ৪
এই সময় | ২৫ জুলাই ২০২৪
গাজোলের সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনায় ধৃত চার দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। বুধবার ডাকাতির পর ঘটনাস্থল ছাড়ার সময় দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থলে একটি ব্যাগ ফেলে যায়। সেই ব্যাগে তিনটি সকেট বোমা রয়েছে বলে অনুমান করেছিল পুলিশের। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ মালদা থানার পুলিশ ও সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড এবং দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে যায় এবং ব্যাগে থাকা বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে।প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে মালদা জেলার গাজোল থানার রানিগঞ্জ এলাকায় কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড পরিচালিত মিনি ব্যাঙ্কে হানা দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। ভরদুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে চলে ডাকাতি। অ্যালার্ম বেজে ওঠার পর গুলি করা হয় এক ব্যাঙ্ককর্মীকে। মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সন্তোষকুমার সরকার বলেন, 'বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ সাত থেকে আট জন অস্ত্র হাতে ব্যাঙ্কে আসে। তাদের মধ্যে দুই জন নীচে পাহারা দিচ্ছিল। অন্যরা দোতলায় ব্যাঙ্কে প্রবেশ করে। আমি বাইরে ছিলাম। সেই সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপরেই একটা দল হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে যায় এবং বোমা ছুড়তে শুরু করে।'
জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, 'গ্রামের মধ্য দিয়ে পালানোর সময়ে পুলিশ পিছু ধাওয়া করলে দুষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে দু'জন দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ হয়। ডাকাতিতে ব্যবহার করা গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চলছে। সব থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।'
এই ঘটনার সময় দোতলায় ছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী অনিতা সরকার। তিনি জানান, সকলের হাতেই বন্দুক ছিল। মুখে ছিল মাস্ক এবং চোখে সানগ্লাস। প্রত্যেকেই নিজেদের মধ্যে হিন্দিতেই কথা বলছিল। কিন্তু, তাদের উচ্চারণেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে তারা হিন্দিভাষী নয়।
ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টেন্ট ক্ষীরোদ মণ্ডলের থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে ভল্ট খুলতেই অ্যালার্ম বেজে ওঠে। আর তা ব্যাঙ্ককর্মী বাজিয়েছে ভেবে তাঁর পেটে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এরপর ব্যাঙ্কের ভল্টে থাকা কয়েক লাখ টাকা এবং ক্যাশ কাউন্টারে থাকা টাকা নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
ডাকাতির পর পালানোর সময় এক দুষ্কৃতীর পায়ে এবং অপর একজনের কোমরে গুলি করে পুলিশ। ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বুধবারই। এই ঘটনায় আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক ডাকাতিকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।