• ‌‌বিহার থেকে চন্দননগর বেড়াতে এসে কোথায় গেল বালক?‌ হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছে পুলিশ...
    আজকাল | ২৫ জুলাই ২০২৪
  • মিল্টন সেন, ‌হুগলি:‌ ঠাকুমা ও দাদুর সঙ্গে চন্দননগরে পিসির বাড়ি বেড়াতে এসে নিখোঁজ বালক। দু’‌দিন কেটে গেলেও এখনও মেলেনি খোঁজ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিখোঁজ বালকের নাম রোহন কুমার পাসোয়ান (৭)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চন্দননগরের সুরেরপুকুরে বাসিন্দা ঝন্টু পাসোয়ান তাঁর স্ত্রী সঞ্জু দেবীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বিহারের বৈশালী জেলার পাতেপুর থানার বওহারা গ্রামে গিয়েছিলেন গত সপ্তাহে। চন্দননগরের নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন গত রবিবার গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেসে। ঝন্টুর সঙ্গে তার শ্বশুর শ্বাশুড়ি চন্দননগরে আসেন চোখের ডাক্তার দেখাতে। দাদু ঠাকুমার সঙ্গে চন্দননগর আসে সাত বছরের নাতি রোহন কুমার পাসোয়ান। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ পিসি সঞ্জু দেবীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে রোহন। স্থানীয় এলাকায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে রোহন সুরেরপুকুর রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তার পর থেকে আর তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    এদিকে রোহন বাংলা জানে না। ভোজপুরি ভাষায় কথা বলে। চন্দননগরের পথ ঘাট অচেনা। কোথায় গেলো! বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার। ছেলে নিখোঁজ হয়ে গেছে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিহার থেকে চন্দননগর এসে পৌঁছন রোহনের বাবা সঞ্জয় পাসোয়ান ও মা রেখা দেবী।

    দাদুর সঙ্গেই এসেছিল ছোটো নাতি। সেই নাতি হারিয়ে যাওয়ায় হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন দাদু। চন্দননগর থানায় নিখোঁজ ডায়রি হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বিহার থেকে আসা বালকের মা, বাবা ও দাদুর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী অফিসার সুবল বিশ্বাস। তাদের চার সন্তান। রোহন সবচেয়ে ছোটো। দু’‌দিন হয়ে গেলেও নিখোঁজ বালকের খোঁজ মেলেনি। চন্দননগর থানার তরফে কাছাকাছি রেল স্টেশন চন্দননগর চুঁচুড়া ব্যান্ডেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রেল পুলিশ জিআরপিকেও নিখোঁজ বালকের সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

    ছবি:‌ পার্থ রাহা 
  • Link to this news (আজকাল)