• শোয়ার ঘরে হানা, স্ত্রীর পাশ থেকে স্বামীকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে বের করল হাতি, তারপর....
    ২৪ ঘন্টা | ২৫ জুলাই ২০২৪
  • অরূপ বসাক: গভীর রাতে এসে হাতি হানা দিল গ্রামে। ঘর ভেঙে এক ব্যক্তিকে তুলে এনে পিষে মারল হাতি। গুরুতর আহত হলেন তাঁর স্ত্রী। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের মূর্তি ফরেস্ট ভিলেজ এলাকায়।

    মৃত ব্য়ক্তির নাম বাবলু ওরাঁও(৫৯)। তাঁর আহত স্ত্রীর নাম লাচ্ছো ওরাঁও। স্থানীর সূত্রে খবর, বুধবার সংলগ্ন গরুমারা জঙ্গল থেকে একটি বুনো হাতি বেরিয়ে চলে আসে মূর্তি ফরেস্ট ভিলেজ এলাকায়। রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন বাবলু। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী লাচ্ছো। রাতে বাবলুর বাড়ির পেছনের অংশ ভেঙে ফেলে হাতিটি। এরপর বাবলুকে শুঁড় দিয়ে টেনে বের করে। বাইরে এনে বাবলুকে পিষে দেয়।

    এদিকে, হাতির শুঁড়ের টানে ঘরের বেড়া ও কাঠ চাপা পড়ে যান লাচ্ছো ওরাঁও। তার আঘাত গুরুতর। ঘটনা টের পেয়ে প্রতিবেশীরা চিত্কার করায় হাতিটি চলে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে চলে আসেন মেটেলি থানার পুলিস ও খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা। আহত মহিলাকে উদ্ধার করে  প্রথম নিয়ে যাওয়া হয় চালসা গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। অন্যদিকে, বাবলু ওরাঁওকে চলসা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা।

    মৃতের ভাই লক্ষ্ণণ ওরাঁও বলেন, গতকাল রাত দুটো নাগাদ গ্রামে হাতি এসেছিল। খবর পেয়ে এসে দেখি বাড়ির কাছে দাদার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। হাতিও কাছেই ছিল। ফরেস্টের গাড়ি আসার পর হাতিকে তাড়ানো হল। বন দফতরের অফিসাররা এসেছিলেন। তারা বললেন সাবধানে থাকতে। বাড়ির সামনে কাঁঠাল গাছ না রাখতে বললেন। দাদার পরিবারে ওর স্ত্রী রয়েছে। আর তিনটে ছেলে। এদের মধ্যে এক ছেলে বাইরে থাকে। চাষবাস করে সংসার চালাতেন। ওর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। এখন ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট যদি ক্ষতিপূরণ দেয় তাহলে ওদের ঘরবাড়ি তৈরি হতে পারে।

    বন সুরক্ষা কমিটি সদস্য সাবলুল হক বলেন, রাত দুটো নাগাদ গরুমারা ফরেস্ট থেকে একটি হাতি এসে বাবলু ওরাঁও নামে এক ব্যক্তিকে মেরেছে। আসলে ফরেস্টের এলাকা কমে যাচ্ছে দিনের পর দিন। তাই এরকম হাতি লোকালয়ে চলে আসছে। আগামী দিনে বেশি করে যদি গাছ লাগানো যায় বা পশুদের খাবার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে এভাবে পশুদের লোকালয়ে চলে আসার প্রবণতা কমবে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)