• জল ছাড়া শুরু হলো মাইথন, পাঞ্চেত থেকে
    এই সময় | ২৫ জুলাই ২০২৪
  • এই সময়, আসানসোল: রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের অনুরোধ মেনে বুধবার সন্ধে থেকে ডিভিসি-র মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া শুরু হলো। দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিশনের (ডিভিসি) সচিবের নির্দেশ মেনে এ দিন মাইথন থেকে ২০০০ এবং পাঞ্চেত থেকে ৪০০০ কিউসেক ফুট জল ছাড়া শুরু হয় বলে জানান ডিভিসি-র এগজ়িকিউটিভ ডিরেক্টর (সিভিল) অঞ্জনিকুমার দুবে।আপাতত ১ অগস্ট পর্যন্ত এ ভাবেই জল ছাড়ার কথা বলা রয়েছে। এরপর রাজ্য সরকারের তরফে নতুন কোনও বার্তা এলে সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও দুবে বলেন, ‘আমরা এর আগে গত কয়েক দিন ধরেই কখনও চার হাজার, কখনও ন’হাজার কিউসেক ফুট জল ছেড়েছি।’

    তিনি জানান, বুধবার মাইথনে ৪৬৭ ফুটের সামান্য বেশি এবং পাঞ্চেতে প্রায় ৪০৭ ফুট জল ছিল। গত বছরের এই সময়ে যে জল ছিল এটা তার তুলনায় কয়েক ফুট বেশি। এই জল সেচ দপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের তরফে খরিফ চাষের জন্য চাওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা ছাড়াও দুই বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলি জেলার আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জল ছাড়া নিয়ে ডিভিসি-র বৈঠক হয়। এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় গড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ কম হওয়ায় চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন। ডিভিসি-র ছাড়া জলে ওই চার জেলা এবং বাঁকুড়া মিলিয়ে প্রায় আট লক্ষ একরের বেশি জমিতে চাষের জল পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    পশ্চিম বর্ধমানের সেচ দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ওই জেলায় প্রায় ৫,৪০০ একর জমিতে এই জল পৌঁছবে। গত ডিভিসি-র কিছুটা জলসঙ্কট থাকায় তারা একটু কম জল দিয়েছিল। কিন্তু এ বার ঝাড়খণ্ডে গত চার দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় তেনুঘাট থেকে পাঞ্চেতে জল কিছুটা বেড়েছে। ফলে ডিভিসি-র পক্ষে বাংলাকে জল দিতে অসুবিধে হবে না।

    পশ্চিম বর্ধমানের কৃষক পরীক্ষিত মাজি বলেন, ‘ধান চাষের জন্য যে বীজতলা দরকার সেটা তৈরি আছে। এ বার ক্যানাল দিয়ে জল পেলে চাষের সুবিধে হবে।’ সেচ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘ক্যানালগুলি ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করা হয়েছে যাতে মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হলে তা দ্রুত পৌঁছতে পারে।’
  • Link to this news (এই সময়)