• মালদায় তৃণমূলের ‘‌শুদ্ধিকরণ’‌, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি হাতে মানুষের দুয়ারে কাউন্সিলর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ জুলাই ২০২৪
  • ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় আসেনি মালদার দুটি আসনে। একটি আসনে জিতেছে বিজেপি। আর একটি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। আর তাই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। ভুল করে থাকলে ক্ষমা চান নির্দেশ দেন তিনি। আর তারপরই সেই নির্দেশ মেনে শুদ্ধিকরণে নামলেন পুরাতন মালদা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর। ভোটারদের দুয়ারে গিয়ে জনসংযোগ করে শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি পালন করলেন।

    তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ থেকে আক্ষেপ করেছিলেন মালদার দুটি আসন না পাওয়ায়। বিজেপি–কংগ্রেস কাজ না করেও কেমন করে জিতল?‌ মানুষ কেন তাঁদের ভোট দিল?‌ এইসব প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেটা নিজেদের দুর্ভাগ্য বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত কাজ করার পর এমন ফলাফলের জন্য মানুষের কাছে যেতে হবে, ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইতে হবে জনগণের কাছে নির্দেশ দেন তিনি। আর দলনেত্রীর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন পুরাতন মালদা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শত্রুঘ্ন সিনহা বর্মা। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা ছিল, ‘‌মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবেন। বলবেন, আপনাদের বিশ্বাস অর্জন করতে পরিনি। আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।’‌

    এদিকে জনপ্রতিনিধি ও কাউন্সিলররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ করতে শুরু করলেন। শুদ্ধিকরণ হিসাবে, মালদা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শত্রুঘ্ন সিনহা বর্মা তার দলীয় কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে নিজের ওয়ার্ডের অর্থাৎ বাচামারী এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে কাউন্সিলর জানতে চান লোকসভা নির্বাচনে তাদের থেকে কেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন?‌ তৃণমূল কংগ্রেসকে কেন ভোট দেননি?‌ প্রশ্ন তোলেন ভোটারদের কাছে। কাউন্সিলার শত্রুঘ্ন সিনহা বর্মা হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে সরাসরি মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান। হাতজোড় করে মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হলে দ্রুত জানানোর বার্তাও দেন তৃণমূল কাউন্সিলার।

    অন্যদিকে এই জনসংযোগ করে খুশি কাউন্সিলর। ভোটারদেরকে কাউন্সিলর শত্রুঘ্ন সিনহা বর্মা বলেন, ‘‌বিপদের সময় আমরা থাকি। বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা আমরা পাইয়ে দিই। অথচ আমাদের কেন ভোট দিলেন না?‌ শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে নেত্রী একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তর মালদা কেন্দ্রে আমরা হেরেছি। নেত্রীর নির্দেশ মেনে পরাজয় স্বীকার করার জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। উন্নয়নমূলক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হলে জানাবেন।’‌ এই এলাকার সাধারণ ভোটাররা কাউন্সিলরের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। কারণ জনসংযোগ হচ্ছে মূল হাতিয়ার। বিজেপির উত্তর মালদার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‌তৃণমূলের বোধবুদ্ধির উদয় হয়েছে ভাল কথা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুদ্ধিকরণ করছে। তবে খালি হাতে গিয়ে শুদ্ধিকরণ করলে হবে না। তৃণমূল নেতারা যেসব কাটমানি, তোলা আদায় করেছে সেসব টাকা ফেরত দিতে হবে। তবেই শুদ্ধিকরণ হবে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)