গত মাসে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল ক্যমাক স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁয়। আর এবার সেই ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে গলগল করে বের হতে দেখা গেল ধোঁয়া। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগুনের আতঙ্ক ছড়ায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের বেসমেন্টে ধোঁয়া দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলের। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। আগুনের উৎস খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন ওই বহুতলের যে জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় সেখানে সাধারণত গাড়ি পার্কিং করা হয়। প্রথমে অফিসের কর্মীরা ধোঁয়া বের হতে দেখেন। তারাই তড়িঘড়ি খবর দেন দমকলে। খবর পেয়ে তৎপরতার সঙ্গে দমকলের একটি ইঞ্জিল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুনের উৎস খতিয়ে দেখেন। যদিও বড় কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটেনি বলেই জানিয়েছে দমকল। তবে এভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ধোঁয়া বেরোতে দেখায় স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আদৌও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন দমকল কর্মীরা।
এদিনের অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকলের পাশাপাশি পুলিশে সেখানে পৌঁছয়। মূলত তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস হওয়ায় সেখানে বহু নেতা কর্মী নিয়মিত যাতায়াত করেন। এছাড়াও ওই বহুতলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস ছাড়াও রয়েছে একাধিক বেসরকারি অফিস। ফলে ঘটনাকে কেন্দ্র করে অফিসের কর্মীদের মধ্যে তুমুল আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকেই অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন।
যদিও, ঘটনার সময় অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না। দিল্লিতে সংসদীয় অধিবেশন চলছে। সেখানে বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ।
এদিকে, এদিন সকালে বিরাটি বিবাদীবাগ রুটের একটি মিনি বাসে ধোঁয়া থেকে আগুনের আতঙ্ক ছড়ায়। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সেন্ট্রাল এভিনিউ ও এমজি রোড ক্রসিংয়ে এসে বাস থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন চালক। সঙ্গে সঙ্গে বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেন চালক। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা।