চলন্ত বাস থেকে ছিটকে খুলল চাকা, চালকের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল বহু যাত্রীর
এই সময় | ২৬ জুলাই ২০২৪
'রাখে হরি মারে কে'!
চলন্ত বাসের চাকা খুলে ছিটকে পড়ল পুকুরে। চালকের বুদ্ধিতে প্রাণ বাঁচল যাত্রীদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলার কলাছড়া এলাকায়। এ দিন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি বাস আরামবাগ ডিপো থেকে ধর্মতলায় যাচ্ছিল। বাসে কমপক্ষে ৩০ জন ছাত্রী ছিলেন। চণ্ডীতলার কলাছড়া এলাকায় অহল্যা বাই রোডে সামনে আচমকাই খুলে যায় বাসের ডান দিকের চাকাটি। তা গিয়ে পড়ে একটি পুকুরে।এরপরেই টলমল হয়ে যায় বাস। এই অবস্থাতেই কিছুটা দূর নিয়ে গিয়ে চালক বাসটিকে দাঁড় করিয়ে দেন। ঘটনায় কোনও যাত্রী আহত হয়নি। বাসচালক শেখ শাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, আরামবাগ থেকে বাস ছাড়ার পর সোদপুরের কাছে চাকা থেকে আওয়াজ হচ্ছিল। শিয়াখালাতেও একই আওয়াজ পান তিনি। শাহাবুদ্দিনের কথায়, 'বাসটির গতি ছিল ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। হঠাৎ করে সামনের চাকা খুলে যায়। বাসটি ডান দিকে হেলে যায়। এই অবস্থাতে যদি ব্রেক কষতাম সেক্ষেত্রে বাসটি উল্টে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। তাই, যাত্রীদের কথা চিন্তা করে চাকা ছাড়া অবস্থাতেই গাড়িটি গতি কমাতে কমাতে কিছুটা দূরে নিয়ে যাই। তারপর গতি কমিয়ে বাসটি দাঁড় করিয়ে দিই।'
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই দুর্ঘটনা বলে দাবি করছেন বাসযাত্রীরা। ওই বাসের এক যাত্রী কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, 'অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি। চালকের উপস্থিত বুদ্ধির জন্য রক্ষা পেয়েছি।'
একই সুর শোনা গেল উৎপল দত্ত নামক এক যাত্রীর কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসটা চলছিল। কয়েকজন যাত্রী সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু, এভাবে চলন্ত বাস থেকে চাকা খুলে যেতে পারে, তা বিশ্বাস করতে পারছি না। চালককে অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি না খাটালে আজ প্রাণে বাঁচতাম না।’