• উত্তরবঙ্গ আলাদা হলে সুকান্ত মুখ্য়মন্ত্রী হতে চান…খোঁচা দিলেন উদয়ন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • কার্যত রাজ্যভাগ নিয়ে যে যার মতো করে একের পর এক ইস্যু হাজির করতে শুরু করেছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর পূর্বের সঙ্গে যোগ করার কথা বলেছিলেন। এনিয়ে ইতিমধ্য়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে বর্তমানে উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হিসাবে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি সম্প্রতি এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। 

    তবে সুকান্তর এই প্রস্তাবকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। এনিয়ে মুখ খুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, এর পেছনে ওই একটাই মানসিকতা কাজ করছে। ও দেখছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী হওয়া ওর কপালে নেই। তাই এখন চাইছে আলাদা হলে যদি সুবিধা হয়। উত্তরবঙ্গকে নর্থ ইস্টের সঙ্গে যুক্ত করার নাম করে যদি আলাদা রাজ্য করা যায় তাহলে সেখানকার মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে। তীব্র কটাক্ষ করেছেন উদয়ন গুহ। কার্যত সুকান্ত মজুমদারের ঠিক কোন ইচ্ছা রয়েছে সেটাই ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি। 

    অন্যদিকে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্য়াসোসিয়েশনের নেতা তথা রাজ্য সভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ কোচবিহারকে পৃথক রাজ্য় হিসাবে চান। আসলে গ্রেটারের এই দাবি দীর্ঘদিনের। বছরের পর বছর ধরে তারা এই দাবি করছেন। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না। আবার এই দাবি থেকে সরে গেলে অনুগামীদের বিশ্বাসে চি়ড় ধরতে পারে। সেকারণে এই পৃথক রাজ্য়ের দাবি থেকে সরেন না গ্রেটার নেতৃত্ব। এমনটাই মত অনেকের। সেকারণে বিজেপির তাঁকে রাজ্য সভার সাংসদের পদ দিলেও আলাদা রাজ্যের দাবি থেকে সরতে চান না অনন্ত মহারাজ। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার মৌখিকভাবে তাঁদের দাবি মেনে নিয়েছেন। 

    এদিকে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে আবার বাংলার ২ ও বিহারের তিন জেলাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি করেছেন। সেক্ষেত্রে বাস্তবে কী হবে নাকি নজর ঘোরাতে জলঘোলা করা হচ্ছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। 

    নিশিকান্ত বলেন, মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে আমাদের এখানে এসে হিন্দুদের উপর অত্য়াচার চালাচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের পুলিশ কোনও কাজ করতে পারছে না। মুসলিমদের সংখ্য়া বাড়ছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করুন। এনআরসি লাগু করুন ওই এলাকায়। কিছু না হলেও সংসদীয় কমিটি পাঠান।

    তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ওই সমস্ত এলাকায় জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে।

    সংসদের জিরো আওয়ারে বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে বলেন, আমাদের এলাকায় আদিবাসী জনসংখ্য়া ক্রমশ কমছে। আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের বিয়ে হচ্ছে। এই যে আদিবাসী জনসংখ্য়া কমছে তা নিয়ে জেএমএম কিছু ভাবছে না।

    নিশিকান্ত দুবে বলেন, সংবিধান আজ বিপদের মধ্যে পড়েছে। আমরা গরিব, আদিবাসী, দলিত, মহিলাদের কথা বলছি। রাজ্য অথবা কেন্দ্রীয় সরকার সকলেরই উচিত প্রতি নাগরিকের কাছে পৌঁছে যাওয়া। আমি সাঁওতালপুর্না এলাকা থেকে এসেছি। যখন এই এলাকা বিহার থেকে বেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে মিশেছিল তখন আদিবাসীদের সংখ্য়া ছিল ৩৬ শতাংশ। এখন সেটাই কমে হয়ে গিয়েছে ২৬ শতাংশ। এই যে ১০ শতাংশ ট্রাইবাল তাঁরা গেলেন কোথায়? শুধু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন ওরা। আমাদের রাজ্যে জেএমএম কিছু করছে না। আমাদের এলাকায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ক্রমশ বাড়ছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)