• মমতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় ১১ কোটি দিতে হবে, দাবি করলেন রাজ্যপাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় এবার নয়া মোড়। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে এই মামলায় ১১ কোটি টাকা দেওয়ার আবেদন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সহ চার জনের বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলা করা হয়েছে। সেখানে কোর্ট ফি বাবদ সব মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। তবে মুখ্য়মন্ত্রীর আইনজীবী আগেই দাবি করেছিলেন যে মানহানি করা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ হাজির করা হয়নি। সেক্ষেত্রে কেন অন্তর্বর্তী নির্দেশ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত এই মামলার আইনি প্রক্রিয়ার রেশ কতদূর যায় সেটাই এখন দেখার। 

    মুখ্য়মন্ত্রীর আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্য়ায়ের তরফে জানানো হয়েছে, জনগণের স্বার্থে ওই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। রাজ্যপালের উদ্দেশে তাঁর করা কোনও মন্তব্যই মানহানিকর নয়। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে মানহানি হয়েছে এমন কিছুই পাওয়া যায়নি। সিঙ্গল বেঞ্চ এই বিষয়টি খতিয়ে না দেখেই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে।

    এদিকে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল,  রাজ্যপালের মানহানি হয় এমন কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে মুখ্য়মন্ত্রীকে। এনিয়ে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

    এর আগে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যায় না। সোশ্য়াল মিডিয়া প্লাটফর্মের সুযোগ নিয়ে এটা করা যায় না।

    হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল একটা প্রাথমিক মামলা করেছিলেন।…যদি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া না হয়, অপর পক্ষকে যদি এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য বলার সুযোগ দেওয়া হয় তবে তিনি অপূরণীয় ক্ষতি ও আঘাতের মুখোমুখি হবেন।

    কার্যত মুখ্য়মন্ত্রী সহ চারজনকে রাজ্যপাল সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছিল হাইকোর্ট। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কথা বলতে পারবেন না। এটা মূলত অন্তর্বর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। আপাতত বলা হয়েছে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়াও ও রিয়াদ হোসেন রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করতে পারবেন না। তবে মূল মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি।

    প্রসঙ্গত বরানগর ও ভগবানগোলা উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল প্রার্থীর শপথকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজভবনে যা চলছে মেয়েরা শপথ নিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। রাজ্যপাল কেন বিধানসভায় এসে শপথ নেওয়াবেন না? কেন স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন না? এরপরই এনিয়ে মামলা করেন রাজ্যপাল। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)