শুক্রেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। শনি থেকে উত্তরবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপর অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি সক্রিয় মৌসুমী বায়ুও। এর জেরেই দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার পর্যন্ত দুর্যোগের পূর্বাভাস। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে।কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
এ দিন কলকাতার আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। তবে শুক্রে শহরে ভারী বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে তিলোত্তমায়। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.২ ডিগ্রি কম এবং শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এ দিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৮০ শতাংশ। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বৃষ্টিপাত হলেও অস্বস্তি বাড়াতে পারে আপেক্ষিক আর্দ্রতা।
কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
শুক্রবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া, এই চার জেলাতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। শনি-রবি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ক্রমশ কমবে। আগামী সাতদিন দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা।
চলতি বর্ষায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে। ২৪ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৪৬ শতাংশ। এই ঘাটতি কতটা মেটে, এখন সব নজর সেই দিকেই।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ফের বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। দার্জিলিং এবং কালিম্পং এই দুই জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শনিবার। রবিবার একই সম্ভাবনা জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের ক্ষেত্রেও। সোমবার ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার ক্ষেত্রে। মৎস্যজীবীদের জন্য শুক্রবার পর্যন্ত সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা তা বহাল থাকবে।