আর্থিক অনুমোদন হয়নি, মাঝপথে বন্ধ রয়েছে রাজনগরে বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ
বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, সিউড়ি: প্রায় বছর খানেক আগে রাজনগরে শুরু হয়েছিল বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের কাজ। কিন্তু আর্থিক অনুমোদনের অভাবে মাঝপথে বন্ধ হয়ে রয়েছে সেই কাজ। বাসস্ট্যান্ড না থাকায় আগের মতোই সিউড়ি রাজনগর প্রধান রাস্তার ধারেই বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছেন বাসের চালকরা। রাজনগরে রাস্তার ধারে এভাবে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাস দাঁড়ানোর জন্য প্রায় যানজট লেগে থাকে। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাজনগরে একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের দাবি রয়েছে সাধারণ বাসিন্দাদের। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বার বার থমকে যাচ্ছে এই কাজ।
ইতিমধ্যেই রাজনগরে নতুন বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি শনাক্ত করা হয়েছে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে। রাজনগরের নাকাশ গ্রামের চরকডাঙা এলাকায় কর্মতীর্থের সামনে এই বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের কথা রয়েছে। জানা গিয়েছে, কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই কর্মতীর্থটিও অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাই সেই কর্মতীর্থটিকেই বাসস্ট্যান্ডের অফিস বা অন্যান্য কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২০১৭-১৮ সালে কর্মতীর্থের পাশে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ও নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটিও এখন স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী নিজেদের কাজে ব্যবহার করছেন। সেখানেই বাসস্ট্যান্ডের মেঝেতে ঢালাই করার জন্য ২০২৩ সালে বীরভূম জেলা পরিষদের উদ্যোগে ১৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৮০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মাত্র এক মাসের মধ্যেই সেই মেঝে তৈরির কাজ শেষ করা হয়েছে বলে একটি ফলকের মাধ্যমে তা ঘোষণা করেছে জেলা পরিষদ। কিন্তু স্থানীয় ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, সেখানে বাসস্ট্যান্ড শুরু করার জন্য আরও বেশকিছু কাজ বাকি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাসকর্মী ও যাত্রীদের বিশ্রামাগার, শৌচালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা, আরও কিছুটা অংশের মেঝে ঢালায় করা ইত্যাদি। এই কাজের জন্য বীরভূম জেলা পরিষদের উদ্যোগে আরও অর্থ বরাদ্দ করা প্রয়োজন রয়েছে বলে ব্লক প্রশাসনের দাবি।
উল্লেখ্য, বীরভূমের রাজনগরে একটি বাসস্ট্যান্ড তৈরির দাবি এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের। কারণ রাজনগর থেকে মাত্র তিন-চার কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঝাড়খণ্ড সীমানা। ঝাড়খণ্ড ও বীরভূম থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কর্মসূত্রে দুই রাজ্যে যাতায়াত করেন। সেই সব যাত্রীদের জন্য বাস দাঁড়াতে হয় সিউড়ি-রাজনগর রাস্তার দুই ধারে। ফলে দিনের বেশির ভাগ সময় যাত্রী ওঠানামার জন্য রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়তে হয় পথচারীদেরও। এই প্রসঙ্গে রাজনগর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুকুমার সাধু বলেন, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে এখানে একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ডের। কিন্তু সেই বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা কাজ শেষ করার আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। ইতিমধ্যেই বাসস্ট্যান্ডের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে।