মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে গ্রুপ-সি পদে ভুয়ো নিয়োগপত্র যোগ দিতে এসে ধৃত যুবক
বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে ঠাঁই হল শ্রীঘরে। এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পরীক্ষা না দিয়ে গ্রুপ সি পদে সরাসরি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার একটি চক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিস। নিয়োগপত্র দেখে বোঝার উপায় নেই সেটি আসল নাকি নকল। এভাবেই অসৎ উপায়ে চাকরি পেতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই চক্র চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে এই ভুয়ো নিয়োগপত্র দিচ্ছে বলে মনে করছে পুলিস। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক যুবক গ্রুপ সি পদে চাকরির জন্য একটি নিয়োগপত্র নিয়ে হাজির হয়। মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপাররা সেই নিয়োগপত্র দেখে অবাক হয়ে যান। মেডিক্যালে যে পোস্ট আদৌ নেই, সেই পোস্টে কীভাবে নিয়োগ হবে? নিয়োগপত্রটি যে ভুয়ো, তা খুব সহজে ধরে ফেলেন আধিকারিকরা। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেন। বহরমপুর থানার পুলিস গিয়ে ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, তার বাড়ি বেলডাঙা থানার ঝুঁনকা গ্রামে।
বহরমপুর থানার এক অফিসার বলেন, অভিযুক্ত যে নিয়োগপত্রটি নিয়ে মেডিক্যালে চাকরিতে জয়েন করতে গিয়েছিল, সেটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। সেখানে পরীক্ষা না দিয়েই গ্রুপ সি পদে চাকরির চেষ্টা করেছিল যুবক। আমরা খবর পেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। তাকে জেরা করে বেশ কয়েকটি নাম পাওয়া গিয়েছে। এর পিছনে একটি চক্র কাজ করছে বলে জানতে পেরেছি। গোটা চক্রটি এমন ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করে দেয় বলে আমাদের অনুমান। গোটা জেলাতেই এই চক্রটি সক্রিয় রয়েছে বলে আমাদের অনুমান। এই চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ চলছে। তবে এব্যাপারে চাকরিপ্রার্থীদেরও সাবধান থাকতে হবে।
মেডিক্যাল কলেজের সুপার অনাদি রায়চৌধুরী বলেন, আমরা ওই যুবকের নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে বুঝতে পেরেছি এটা সম্পূর্ণ ভুয়ো। মেডিক্যাল কলেজ থেকে নাকি ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে বলেও সে জানিয়েছে। তারপর সেই ট্রেনিংয়ের ভিত্তিতে একটি সার্টিফিকেটও নাকি দেওয়া হয়েছে। যদিও আমাদের তরফ থেকে এমন কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিসকে জানিয়েছি। পুলিস অভিযুক্তকে ধরে নিয়ে যায়। মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগের চিঠি ছিল। এরকম কোনও পোস্ট মেডিক্যাল কলেজে নেই। তাই আমাদের বুঝতে দেরি হয়নি।