• আর ধরপাকড় নয়, এনায়েতপুরে শান্তি বৈঠকে বার্তা বিধায়কের
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: এনায়েতপুরে পুলিসের সঙ্গে বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় আর কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। শান্তি বৈঠকে আশ্বাস দিয়ে ঘরছাড়াদের বাড়ি ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ বানিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যারা এর পিছনে রয়েছে তাদের খোঁজ করছে পুলিস। সাবিত্রীর অভিযোগ মুলত কংগ্রেস ও বিজেপির দিকে।


    মানিকচকের এনায়েতপুর অঞ্চলের মমিনটোলা, এনায়েতপুর ই.এ হাইস্কুল, মোহনা ও এনায়েতপুর বাজারে শান্তি বৈঠক করেন বিধায়ক। সেখানে ছিলেন মানিকচক ব্লক তৃণমূল সভাপতি মাহফুজুর রহমান, মালদহ জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল, মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল সহ এনায়েতপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা।


    সাতদিন আগে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগে এনায়েতপুরে পথ অবরোধ ঘিরে পুলিস ও জনতার সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথী হালদার সহ তিন পুলিসকর্মী। ধরপাকড়ের জেরে তখন থেকেই থমথমে ছিল এলাকা। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছিলেন পুরুষরা। সেই ভয়ের পরিবেশ কাটাতেই বৈঠক করেছেন বিধায়ক।


    গ্রামবাসীরা তাঁকে জানান, ঘটনার সঙ্গে যুক্তরা পলাতক। কিন্তু পুলিস রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে নির্দোষদের গ্রেপ্তার করেছে। এবিষয়ে সাবিত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেস ও বিজেপির কিছু লোক গ্রুপ বানিয়ে এই চক্রান্ত করেছে। সাধারণ মানুষ বুঝতে সেটা বুঝতে পারেননি। বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত করার জন্য মানিকচকে নতুন করে ১ লক্ষ ৩২ হাজার কেভির কাজ হচ্ছে। সেই সময় বিদ্যুত্ বিভ্রাট হওয়ায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে উস্কানিমূলক কথা বলে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিসকে মারধর এবং তাদের পাল্টা গুলি চালানো দুঃখজনক। তবে এবার এলাকায় শান্তি ফিরে আসুক। 


    সাবিত্রী নাম না করে আসলে এদিন প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মোত্তাকিন আলমের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। কারণ এনায়েতপুরে অশান্তির ঘটনার তিনদিন আগে মানিকচকে সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ ঈশা খান চৌধুরীকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদ্যুত্ পরিষেবা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মোত্তাকিন। তিনি বলেছিলেন, বিদ্যুত্ বিভ্রাট চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই দপ্তরে তালা মেরে ঘেরাও করা হবে। তার জন্য সবাইকে তৈরি হওয়ার বার্তাও দিয়েছিলেন মোত্তাকিন। তিনি বলেছিলেন, সাধারণ মানুষ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। আমরা তাদের পাশে রয়েছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’)। তবে সাবিত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি। মানিকচক ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, কংগ্রেস চক্রান্ত বা উস্কানিমূলক কিছু করেনি। সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পাওয়ায় ওই ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য বিদ্যুৎ দপ্তর ও বিধায়ক দায়ী।


    অন্যদিকে, দক্ষিণ মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডলের কথায়, পুলিস দলদাসে পরিণত হয়েছে, সেটা বিধায়কের বক্তব্যে প্রমাণিত। তৃণমূলের কথায় কংগ্রেস ও বিজেপির লোকেদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিজেদের দোষ ঢাকতে এখন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।
  • Link to this news (বর্তমান)