• গোরস্থানের জমির চরিত্র বদলের অভিযোগ, বিক্ষোভ গ্রামবাসীর
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: গোরস্থানের জমি হয়ে গিয়েছে বাস্তু। সেখানে বসতিও গড়ে উঠেছে। জমির চরিত্র বদলের অভিযোগ করে আন্দোলনে নামলেন বাসিন্দারা। জমির চরিত্র আগের অবস্থায় ফেরানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে বিক্ষোভ দেখানোর পর ডেপুটেশন দিয়েছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে ভূমি দপ্তর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। সেখান থেকে যেমন নির্দেশ আসবে, সেইমতো পদক্ষেপ গ্রহণ নেওয়া হবে।


    রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতে বালিয়া গ্রাম। রায়গঞ্জ ব্লক হলেও এই জায়গাটি হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে। এদিন বালিয়া গ্রামের কয়েকশো মানুষ ডেপুটেশন দিতে আসেন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দপ্তরে। বালিয়া গোরস্থান কমিটির ফরিদ বক্স বলেন, ৪ নম্বর বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের এই বালিয়া গোরস্থান প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো।  কিছুদিন আগে দেখলাম কিছুটা অংশ ডাঙাজমি করে দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশ ১ নম্বর খতিয়ানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা জানি ১ নম্বর খতিয়ান মানে সেটা ভেস্ট ল্যান্ড অর্থাৎ সরকারি সম্পত্তি। কোন নির্দেশে গোরস্থানের চরিত্র বদল করা হল, সেটা আমরা জানতে এসেছিলাম। ফরিদের আরও দাবি, বিএলআরও, এসডিএলআরও অফিস এক একটা ঘুঘুর বাসা। কার ষড়যন্ত্রে এটা করা হয়েছে তার কারণ খুঁজতে হবে।


    এদিকে ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বালিয়া এলাকার ৮ একর ১৭ শতক জমিতে গোরস্থান ছিল। পরবর্তী সময়ে আশির দশকে আরএস রেকর্ড থেকে এলআর রেকর্ড তৈরি করা হয়। ১৯৮৫ সালে ওই নতুন রেকর্ড তৈরির সময় জমির চরিত্রও বদল হয়ে যায়। আট একর জমিকে চারটি প্লটে ভাগ করা হয়। একই সঙ্গে পুরো জমিটাই ভেস্ট হয়ে যায় অর্থাৎ জমির মালিক তখন হয়ে যায় সরকার। জমিটির চারটি প্লটের মধ্যে দু’টি প্লট ১.৯০ এবং ২.৯০ একর জমি গোরস্থান হিসেবে থাকলেও বাকি দু’টি প্লটকে ডাঙা এবং বাস্তু জমিতে ভাগ করে দেওয়া হয়। 


    রায়গঞ্জ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সৌমেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন ডেপুটেশন দিয়েছেন। তাঁদের দাবি ওই জমিটিকে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সেখান থেকে যা নির্দেশ আসবে, সেইমতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)