• ড্রাগন ফল চাষে ঝোঁক বনবস্তির বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বাগডোগরা: অধিক মুনাফার আশায় ড্রাগন ফল চাষে ঝোঁক বাড়ছে বনবস্তির বাসিন্দাদের। বাগডোগরা বনাঞ্চলের ভিতরে সেন্ট্রাল ফরেস্ট বস্তি রয়েছে। সেই এলাকার কৃষিজমিতে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকরা ধান, গম, ভুট্টা, সরষে ইত্যাদি ফসল ও বিভিন্ন শাকসব্জির চাষ করে আসছে। তবে এই প্রথম ওই এলাকায় ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেছেন সন্তোষ সুব্বা নামে এক কৃষক। সন্তোষবাবু বলেন, দূরের এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পেরে এই ড্রাগন ফলের চাষে আগ্রহী হই। এরপর মোবাইলে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এই ফলের চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে চাষ শুরু করি। প্রায় দেড় বছর আগে ৩০০টি চারাগাছ লাগিয়েছিলাম। এখন তার সবকটিতেই ফুল এসেছে। আর কিছুদিন পরই ফল ধরবে। এই ফলের চাষে একটি করে পিলার বসিয়ে তাতে চার-পাঁচটি করে গাছ লাগিয়েছি। চারা গাছ রোপণের সময় শুধু গোবর সার প্রয়োগ করা হয়েছে। এরপর প্রতিদিন সেই গাছে জল দেওয়া ও গাছের গোড়ায় আগাছা জন্মালে সেগুলি তুলে দিয়েছি। তাছাড়া ড্রাগন ফলের গাছের গোড়ায় যাতে জল না জমতে পারে সেজন্য সারিবদ্ধভাবে লাগানো গাছের মাঝ বরাবর নালা তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ধান-গমের চাষে যে পরিমাণ পরিচর্যা ও পরিশ্রম করতে হয় তার থেকে এই ফল চাষে তুলনামূলক কম পরিশ্রম করতে হয়। খরচ বলতে প্রথমে এক একটি চারা গাছ ১৫০ টাকা করে কিনেছি। ২০০ টাকা করে মোট ৭৫টি পিলার বসানো হয়েছে। এছাড়া কিছু গোবর সার প্রয়োগ করেছি। বর্তমানে বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা বাড়ছে। আশা করছি যে অর্থ লগ্নি করেছি তার কয়েকগুণ ফিরে আসবে।
  • Link to this news (বর্তমান)