বোতলবন্দি জলের অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে অভিযান কেন্দ্রের
বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বোতলবন্দি জলের বোতল বা বা প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের আওতায় থাকা ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস বা বিআইএসের লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। এই লাইসেন্স না থাকলে বোতল বা প্যাকেটে আইএসআই ছাপ ব্যবহার করা যায় না। তবে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বোতলবন্দি জলের ব্যবসা চলছে বিআইএসের লাইসেন্স ছাড়াই। সেই অসাধু কারবার বন্ধে উদ্যোগী হল কেন্দ্র।
বিআইএস কর্তারা বলছেন, সম্প্রতি অভিযানে নেমে নদীয়ায় এমনই একটি সংস্থার সন্ধান মেলে, যেখানে অসাধুভাবে আইএসআই ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছিল বোতলবন্দি জলে। ‘অ্যাকোয়া নাইস’ নামে ওই সংস্থাটির কোনও বিআইএস লাইসেন্স ছিল না। এই সংস্থায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার জলের বোতল বাজেয়াপ্ত করেন বিআইএস কর্তারা। প্রায় ২,৭০০টি লেভেল বাজেয়াপ্ত করা হয়, যেগুলিতে অবৈধ আইএসআই ছাপ দেওয়া ছিল। এর আগেও একাধিক জায়গায় এই ধরনের অবৈধ কারবার হাতেনাতে ধরেছে বিআইএস।
ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর কলকাতা শাখার (১) প্রধান ও সায়েন্টিস্ট-ই সব্যসাচী ধর বলেন, ক্রেতাদের সঠিক গুণমানের পণ্যটি তুলে দেওয়ার জন্য আমরা সবসময় সচেষ্ট। বেশকিছু পণ্য রয়েছে যেগুলি বিক্রি করার ক্ষেত্রে বিআইএসের লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। তার মধ্যে অন্যতম বোতলবন্দি জল। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যাঁরা বোতলবন্দি জলের ব্যবসা করেন, তাঁরা বিআইএসের তরফে লাইসেন্স নেওয়া বা আইএসআই ছাপ ব্যবহারের বিষয়টি জানেন না। ক্রেতাদের একাংশও এই ব্যাপারে অবগত নন। আমরা এক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছি ও করছি। তবে বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও অনেক সংস্থাই ইচ্ছাকৃতভাবে বিআইএস লাইসেন্স না নিয়েই বোতল বন্দি জলের ব্যবসা করে। অনেকে লাইসেন্স না নিয়ে দিব্যি আইএসআই ছাপ বা লোগো ব্যবহার করে অবৈধভাবে। আমরা রাজ্যজুড়ে এই ধরনের অসাধু ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। পুলিসের সাহায্য নিয়ে আমরা জেলায় জেলায় তল্লাশি চালাচ্ছি। এই উদ্যোগ চলবে। বিআইএস লাইসেন্স না নেওয়া এবং আইএসআই বা সমগোত্রীয় ছাপ অসাধুভাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দু’বছরের জেল ও দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।