• বেলুড়ে রুদ্রমূর্তি গঙ্গার, কোনওমতে বেঁচে ফিরলেন যাত্রীরা
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বেলুড় থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার লঞ্চ ছেড়েছিল। কিছুক্ষণ চলার পর হঠাৎ উথালপাতাল হতে শুরু করে গঙ্গা। লঞ্চ পুরো ভর্তি ছিল। যাত্রীরা ছুটোছুটি শুরু করেন। ভয়ে ঈশ্বরকে ডাকতেও শুরু করেন অনেকে। পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার নেয়। লঞ্চের দুলুনিতে অনেক যাত্রী বমি করে ফেলেন। তীরে নামার পরও কাঁপতে থাকেন অনেক যাত্রী। এমনকী অনেকেরই একদিন পরও আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি বলে জানিয়েছেন। কারও বক্তব্য এই ঘটনা আজীবন মনে থাকবে।

    লঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অজিতেশ গঙ্গোপাধ্যায় (নাম পরিবর্তিত)। তিনি বললেন, ‘ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরের। আড়াইটে-পৌনে তিনটে নাগাদ আমরা সবে বেলুড় থেকে লঞ্চে উঠেছি। কিছুক্ষণ চলার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই লঞ্চ ভয়ানকভাবে দুলতে শুরু করে।’ ঘটনার একদিন বাদেও সে কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো গলা কাঁপছিল অজিতেশবাবুর। ঠিক কখন, ক’টায় ঘটনা ঘটেছে, ওই ভদ্রলোকের সঠিকভাবে মনে নেই। তাঁর কথায়, ‘এটা ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। মোবাইল ফোন ব্যাগের মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই সকলে দৌড়দৌড়ি করছিলেন। অনেকে দেখলাম বমি করে দিয়েছেন। এমনকী নামার পরও অনেকে বমি করছিলেন। সকলেই একটা ট্রমার মধ্যে ছিলেন।’ শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পর থেকে রাতে ঘুমও উড়ে গিয়েছে তাঁর। চোখ বন্ধ করলেই যেন সেই দৃশ্য ভেসে উঠছে। 

    তিনি আরও বলেন, ‘সম্ভবত তখন জোয়ারের সময় ছিল। জানিও না কখন জোয়ার আসে। মিনিট ১৫-২০ ধরে এই গোটা বিষয়টা ঘটে। ওইটুকু সময় যেন অনন্তকালের মতো মনে হচ্ছিল।’ দক্ষিণেশ্বর ঘাট কামারহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকার মধ্যে পড়ে। 

    ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল অরিন্দম ভৌমিক বলেন, ‘ওই খবর আমাদের কানে এসেছে। বানের সময় দেখেই লঞ্চ চালানো হয়। কীভাবে এটা হল সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)