• মদ্যপ অবস্থায় কিশোরকে মারধর অভিযোগ পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে!
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: জন্মদিন পালন করতে গিয়ে জুটল পুলিসের মার। তাও বিনা কারণে। শুধু তাই নয়, মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিস কর্মচারী নাকি মদ্যপ অবস্থায় ‘অতি সক্রিয়তা’ দেখিয়েছেন! এই গুরুতর অভিযোগকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়ার জগাছায়। সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন ওই পুলিস কর্মী। 

    আক্রান্ত কিশোর স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। থাকে জগাছার মুচিপাড়ায়। বুধবারই ছিল তার জন্মদিন। তাই মা স্কুলে যেতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু বন্ধুদের ডাকাডাকিতে শেষমেশ ছুটির সময় স্কুলের সামনে গিয়েছিল বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নিতে। অভিযোগ, সেই সময় এক পুলিসকর্মী এসে তাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন সে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে? জন্মদিনের কথা বললেও তাতে তা মনঃপুত হয়নি ওই পুলিসকর্মীর। এরপরেই তিনি ‘অতি সক্রিয়’ হয়ে ওঠেন। এমনকী, হাত দিয়ে একপ্রস্থ মারার পর লাঠি দিয়েও মারধর করেন এই পড়ুয়াকে। অভিযোগের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়, যখন জানা যায় ওই পুলিস কর্মী নাকি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। আক্রান্ত কিশোরের মায়ের দাবি, এই ঘটনার পর তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি। উল্টে বিষয়টি তাঁদের উপর ছেড়ে দিতে বলা হয়। অভিযোগকারিণী বলেন, বিনা কারণে আমার ছেলেকে মারধর করেছে পুলিস। আমি যখন অভিযুক্ত পুলিসকর্মীর সঙ্গে কথা বলতে যাই, তখন তাঁর মুখ দিয়ে মদের গন্ধ বেরচ্ছিল। কেন মেরেছেন ছেলেকে, জানতে চাইলে ওই মদ্যপ পুলিসকর্মী বলেন, মারধর করিনি, ভয় দেখাচ্ছিলাম। আক্রান্ত কিশোর বলে, আমি কেক কিনে স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। তার কারণও বলেছি। তাও আমাকে মারা হল। ওই পুলিসকর্মী গালিগালাজও করেছেন।

    এ নিয়ে পুলিসের এক কর্তা বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করার যে অভিযোগ উঠেছে, তারও সত্যতা মেলেনি। তাহলে ছাত্রের পায়ে আঘাত কীভাবে লাগল? এই প্রশ্নের উত্তরে ওই কর্তা বলেন, ইভটিজিং হচ্ছে বলে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ওই পুলিসকর্মীরা। ভিড় খালি করতে তাঁরা বিভিন্ন সাইকেলে লাঠি দিয়ে মেরেছেন। হয়তো অসাবধানতাবশত সাইকেলের বদলে কারও পায়ে লেগে থাকতে পারে। টাকে মারধর করা বলে না। গোটা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানে।
  • Link to this news (বর্তমান)