হাইকোর্টে মিথ্যা তথ্য পেশের অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিরুদ্ধে
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুলাই ২০২৪
২০১৪ প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় আদালতে মিথ্যা তথ্য পেশ করে হাতে নাতে ধরা পড়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। টেটের শংসাপত্র চেয়ে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর দায়ের করা মামলায় ফের একবার আদালতে মুখ পুড়ল তাদের। ফের একবার প্রশ্ন উঠে গেল দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদিচ্ছা নিয়ে।
পড়তে থাকুন - দুর্গাপুজোর পর খুলে যেতে পারে হলং বনবাংলো, বিধানসভায় নতুন তথ্য দিলেন মন্ত্রী
২০১৪ প্রাথমিক টেটের শংসাপত্র চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ৬০ জন টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী। চলতি মাসে সেই মামলা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস থেকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে স্থানান্তরিত হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছিল, টেটের সার্টিফিকেট সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে। সংসদের দাবি, টেটের ওএমআর শিট মূল্যায়নসহ যাবতীয় দায়িত্ব ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির ওপর। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতর তদন্ত শুরু হওয়ার পর যাবতীয় নথি রয়েছে সিবিআইয়ের হেফাজতে।
পালটা সওয়ালে সিবিআইয়ের আইনজীবী এই সংক্রান্ত নথি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছেই রয়েছে। ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০৩ জনের তথ্য সংসদকে হস্তান্তর করেছে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। সেই সংক্রান্ত চালানের প্রতিলিপিও এদিন আদালতে পেশ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সিবিআইয়ের আইনজীবীর সওয়ালের পর এদিনের মতো শুনানি মুলতুবি বলে ঘোষণা করেন বিচারপতি।
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে আদালতে মিথ্যা তথ্য পরিবেশনে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দুর্নীতিবাজদের আড়াল করতে মরিয়া হয়ে তথ্য গোপন করতে চাইছে তারা? না কি আধিকারিকদের অদক্ষতা ও অযোগ্যতার জেরে আদালতে বার বার মুখ পুড়ছে তাদের।