• বাগদা হাসপাতাল: নেই আপৎকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা, এক বছর ধরে বন্ধ সিজার
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাগদার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা বাগদা গ্রামীণ হাসপাতাল। তবে এই হাসপাতাল নিজেই ‘রেফার রোগে’ আক্রান্ত বলে দাবি বাসিন্দাদের। হাসপাতালে সেভাবে কোনও পরিষেবাও মেলে না। ছুটতে হয় ৩০ কিলোমিটার দূরে বনগাঁ হাসপাতালে। বাগদাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এসেছিলেন, হাসপাতালে অন্তত সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থা চালু হোক। তাহলে সন্তানসম্ভবা মহিলাদের নিয়ে দূরে যেতে হবে না। বাগদার বিধায়ক থাকাকালীন বিশ্বজিৎ দাস বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। এরপর বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যবস্থাও চালু হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই তা বন্ধও হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে আপৎকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় সিজার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একজন অ্যানাসথেসিস্ট থাকলেও তাঁকে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোগান্তিতে বাসিন্দারা। কর্তৃপক্ষের দাবি, ইমার্জেন্সি পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবস্থা হলেই সিজারিয়ান ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হবে।

    বাগদা হাসপাতালের বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের। বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানিয়ে এসেছেন। কয়েক বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন তৎকালীন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। মঞ্চ থেকেই বিষয়টি দেখবার জন্য জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই হাসপাতালে সিজারিয়ান চালু করতে উদ্যোগী হয় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। তাদের পক্ষ থেকে হাসপাতালে দু’জন প্রসূতি চিকিৎসক ও একজন অ্যানাসথেসিস্ট ও একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ  নিয়োগ করা হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যে সিজারিয়ান ব্যবস্থাও চালু হয় হাসপাতালে। কিন্তু বর্তমানে সেই অপারেশন বন্ধ আছে।

    এই প্রসঙ্গে বাগদা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব মল্লিক বলেন, হাসপাতালে ইমার্জেন্সি পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবস্থা না থাকায় সিজারিয়ান ব্যবস্থা প্রায় ছ’ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ আছে। গ্রিন জেনারেটরের ব্যবস্থা হলে ওই অপারেশন চালু করা সম্ভব। প্রাক্তন বিধায়ক তথা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, হাসপাতালের পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সমস্যার জন্য সিজারিয়ান ব্যবস্থা বন্ধ আছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এবিষয়ে বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর বলেন, আমি বিষয়টি জানতাম না। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।
  • Link to this news (বর্তমান)