এই সময়, কালনা: স্বাদে আম্রপালীর থেকেও মিষ্টি। ফলন বছরে দুই থেকে তিনবার। প্রথাগত চাষের বদলে চাষিদের লাভের মুখ দেখাতে থাইল্যান্ডের কাটিমন আমের হাজারখানেক চারা বিলি করছে কালনা মহকুমা উদ্যানপালন দপ্তর। বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকজন চাষির হাতে তুলে দেওয়া হলো এই আমের চারা।প্রথাগত চাষের বদলে চাষিদের লাভের মুখ দেখাতে মহকুমার পাঁচটি ব্লকে ১৮৪ হেক্টর জমিতে ৭৯ হাজার ৭৫০টি ফলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কালনা মহকুমা উদ্যানপালন দপ্তর। সব থেকে বেশি ৩৫ হাজার চারা বিলি হবে মন্তেশ্বর ব্লকে। যে সমস্ত ফলের চারা বিলি করা হচ্ছে তার মধ্যে কাঁঠাল, লিচু, নারকেলের সঙ্গে বিদেশি কাটিমন আম, টিস্যু কালচার কলাও রয়েছে।
তবে চাষিদের আগ্রহ সব থেকে বেশি কাটিমন আমে। ৪ থেকে ৬ মিটার উচ্চতা হয় কাটিমন গাছের। জলবায়ুর উপর নির্ভর করে বছরে দুই থেকে তিনবার ফলন হয়। তবে গ্রীষ্ম ও শীতকালে প্রচুর ফুল এলেও এই আমের ফলন সবচেয়ে বেশি হয় বর্ষাকালে। মূলত এই আম অফ সিজনের।
কালনা মহকুমা উদ্যানপালন আধিকারিক লিডিয়া মোচারি বলেন, ‘কাটিমন আমের চারা এবার প্রথম দেওয়া হলো। মহকুমার পাঁচটি ব্লকে হাজারখানেক কাটিমনের চারা বিলি করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলক ভাবে দেখা হবে। ভালো ফল মিললে পরে আরও চারা দেওয়া হবে।’ জানান, বিদেশি প্রজাতির এই আমের একটি গাছের জন্য ৫ মিটার বাই ৫ মিটার জায়গা লাগে। প্রতি বিঘায় বসানো যায় ৫০ থেকে ৫৪টি গাছ।
খর্বাকৃতির ওই গাছে ২ বছরের মধ্যেই ফল ধরতে শুরু করে। একটি গাছ থেকে আম পাওয়া যায় ৩০ থেকে ৩৫ কেজির মতো। এদিন কাটিমন আমের চারা পেয়েছেন কালনার বাঘনাপাড়ার চাষি সুবলচন্দ্র দাস। বলেন, ‘যা শুনলাম তাতে এই আম লাভজনক হবে বলে মনে হচ্ছে। ভালো ফলন হলে আমিই এই আমের চারা আরও বসাব।’