মালদা-মুর্শিদাবাদকে নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি BJP বিধায়কের, সরব তৃণমূল
এই সময় | ২৬ জুলাই ২০২৪
ফের রাজ্য ভাগের ইস্যু নিয়ে চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মালদা, মুর্শিদাবাদের সঙ্গে বিহারের কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলার আওয়াজ তুলেছেন লোকসভায়। কার্যত সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে মুর্শিদাবাদ সহ আরও পাঁচটি জেলাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক গৌরী শঙ্কর ঘোষ। যা নিয়ে কড়া আক্রমণ করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করা হয়েছে সিপিএমের তরফেও।শুক্রবার গৌরী শঙ্কর ঘোষ বলেন, 'মুর্শিদাবাদ জেলায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ যেভাবে ঘটছে তাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। ২০২২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল।' দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং ঝাড়খণ্ডের কয়েকটি জেলাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছিলেন তিনি। ওই দাবি নিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্যপালকে চিঠিও লিখেছিলেন ২০২২ সালে। সেই দাবিতে তাঁর বিজেপি পার্টি আস্থা রেখেছে এবং আগামী দিনে সেই দাবিকে মান্যতা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
লোকসভা মিটতে না মিটতেই ফের রাজ্য ভাগের ইস্যুককে আলোচনায় নিয়ে আসলেন বিজেপি বিধায়ক। একদিকে, কোচবিহারকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। এর মাঝেই এবার মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলাকেও পৃথকীকরণের দাবি তুললেন আরেক বিজেপি বিধায়ক। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বিজেপির এই দাবিকে নস্যাৎ করে চরম বিরোধিতা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হেকিম বলেন, ‘একটা সময় বিজেপির লোকজন ভারতকে ভাগ করেছিল। আজকে আবার যখন পায়ের তলায় মাটি নেই, যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, তখন আবার ভাগাভাগির দাবি তুলছে।’ তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি আগামী দিনে যদি কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে চলে যায়, তাহলে যে রাজ্যে বিজেপি শাসন রয়েছে, সেগুলিকে আলাদা দেশ করার দাবিও তুলতে পারে।
বিজেপি বিধায়কের এই দাবির চরম বিরোধিতা করা হয়েছে সিপিএম তরফেও। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘রাজ্যগুলোকে ছোট টুকরোয় ভেঙে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করে এককেন্দ্রীক রাষ্ট্র বানাতে চায় বিজেপি। বাংলার দুটো জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে তাঁরা।’