• ইংরেজি স্যরের বেল্ট আছড়ে পড়ল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের শরীরে
    এই সময় | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • এই সময়, বর্ধমান: গায়ে লাল চাকা দাগ। কোথাও কালশিটে। স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটি সম্ভবত ভাবতেও পারেনি তার শরীরে আছড়ে পড়বে চাবুকের মতো ইংরেজি স্যরের বেল্ট।বৃহস্পতিবার বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে শহরে। অমন মারের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রটি। পরিবারের লোকজন স্কুল থেকে ছাত্রটিকে নিয়ে যান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ওই ছাত্রর চিকিৎসা করানো হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার, ওই ছাত্রের অভিভাবক ও অভিযুক্ত শিক্ষককে নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা। তার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    শহরে নামী স্কুলগুলোর অন্যতম বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল। ওই ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্কুলে টিফিনের সময়ে ঘটনাটি ঘটে। জল খাওয়ার জায়গায় কোনও এক ছাত্র চিৎকার করে ওঠে। তখন সেখানেই ছিলেন ইংরেজির শিক্ষক রঞ্জিত মুর্মু। তাঁর ধারণা হয় ওই ছাত্রটিই চিৎকার করেছে। এর পরই তিনি ওই ছাত্রকে টেনে নিয়ে গিয়ে প্রথমে স্কেল দিয়ে মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। তাতেও শিক্ষককে থামানো যায়নি। অভিযোগ, এর পরে প্যান্টের বেল্ট খুলে ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারতে থাকেন ইংরেজির ওই শিক্ষক।

    সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই ছাত্রের দিদি স্কুলে গিয়ে ভাইকে নিয়ে যান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে আসেন ছাত্রটির পরিজন। কিন্তু হাসপাতালে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বা অভিযুক্ত শিক্ষক কারও দেখা পাননি তাঁরা। ফোনেই তাঁরা কথা বলেন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে।

    প্রহৃত ছাত্রটির দিদি বলেন, ‘ভাই কোনও অপরাধ করলে স্যরদের উচিত ছিল বিষয়টি ঠিক না বেঠিক সেটা আগে জানা। কিছু না জেনে এ ভাবে ভাইকে মারধর করা ঠিক হয়েছে কিনা সেটা স্যরদের উপরেই আমরা ছেড়ে দিয়েছি। শুক্রবার স্কুলে যেতে বলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক কী সিদ্ধান্ত নেন দেখব, তার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

    স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘ওই ছাত্রের অভিভাবকদের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে স্কুলে আসতে বলা‌ হয়েছে। মারধরের অভিযোগ ওঠা শিক্ষককেও ডাকা হয়েছে। আলোচনার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’ স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করায় এদিন ওই ছাত্রের পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযুক্ত শিক্ষক রঞ্জিত মুর্মুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
  • Link to this news (এই সময়)