• সোনারপুরের দস্যু জামালের প্রাসাদে পুলিশ, মাটির নীচে খোঁজ পাওয়া গেল বিশাল ঘরের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • সোনারপুরে সালিশির নামে মহিলাদের ওপর মধ্যযুগীয় অত্যাচার করায় অভিযুক্ত তৃণমূলি দস্যু জামাউদ্দিনের প্রাসাদে খোঁজ পাওয়া গেল গোপন কুঠুরির। শুক্রবার সকালে অভিযুক্তকে নিয়ে সোনারপুরের প্রতাপনগর এলাকায় তার বাড়িতে যান পুলিশ আধিকারিকরা। সেই প্রাসাদের ভিতরে ১৫ হাজার লিটারের এটি ভূগর্ভস্থ গহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কী কারণে এত বড় গহ্বর জামাল তৈরি করেছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।

    সোনারপুরে সালিশি সভার নামে মহিলাদের শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে জামালের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের হাত মাথায় থাকায় পুলিশ তাকে এলাকায় সালিশ বসানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই বলে বলীয়ান হয়ে নিজের বাড়িতে সালিশ বসাত জামাল। আর সেখানে বিচারের নামে চলত মধ্যযুগীয় নির্যাতন। নির্যাতন করার জন্য বাড়িতে রীতিমতো পরিকাঠামো গড়ে তুলেছিল সে। মেঝেতে গেঁথেছিল শিকল বাঁধার হুক। গ্রামবাসীদের নির্যাতন করতে কিনেছিল শিকল। এমনকী বাড়িতে এক কৃত্রিম জলাধার তৈরি করেছিল সে। সালিশি সভার নির্দেশ মানতে অস্বীকার করলে সেখানে অনেককে চুবিয়ে ধরা হয়েছিল বলেও অভিযোগ।

    সোনারপুরে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের সাংবাদিক বৈঠকের পর জামালের কীর্তি প্রকাশ্যে আসে। এর পর তার বিরুদ্ধে আসতে শুরু করে একের পর এক অভিযোগ। এসব নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই বাড়ি ছাড়ে জামাল। দিন কয়েক পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    ওদিকে জামালের কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আলোচনায় তার প্রাসাদ। ঝাঁ চকচকে সেই প্রাসাদে কৃত্রিম পুকুরে চরে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ, রয়েছে খচ্চরও। অথচ জামালের পেশা কী তা বলতে পারেননি স্থানীয়রা।

    শুক্রবার সকালে জামালকে নিয়ে তার প্রাসাদে গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তখনই জানা যায় বিশাল ভূগর্ভস্থ গহ্বরের কথা। তল্লাশির পর প্রাসাদের সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)