• রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে পারবেন মুখ্য়মন্ত্রী, তবে…নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুলাই ২০২৪
  • মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের করা মানহানি মামলায় ফের নতুন মোড়। এবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মানহানি হয়েছিল কি না সেটা বিবেচনা করে দেখবে সিঙ্গল বেঞ্চ। এনিয়ে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গেই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা যাবে। কিন্তু সেই মন্তব্যের মাধ্যমে যাতে কোনওভাবেই রাজ্যপালের মানহানি না হয় সেটা দেখতে হবে। অর্থাৎ মুখ্য়মন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে পারলেও তিনি মানহানিকর কিছু বা অবমাননাকর কিছু বলতে পারবেন না। 

    এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছিল মুখ্য়মন্ত্রীর পক্ষ থেকে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল। এবার ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে মুখ্য়মন্ত্রীর মন্তব্যের মাধ্য়মে রাজ্যপালের মানহানি হয়েছিল কি না এটা বিবেচনা করে দেখবে সিঙ্গল বেঞ্চ। 

    এর আগে গত ১৬ই জুলাই সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের এজলাসে বলা হয়েছিল মামলাকারীর দাবি অনুসারে কিছু মন্তব্যে তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এরপরই বলা হয়েছিল রাজ্যপালের মানহানি হয় এমন কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে মুখ্য়মন্ত্রীকে। এজন্য ১৪ অগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এর পর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। 

    প্রসঙ্গত বরানগর ও ভগবানগোলা উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল প্রার্থীর শপথকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজভবনে যা চলছে মেয়েরা শপথ নিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। রাজ্যপাল কেন বিধানসভায় এসে শপথ নেওয়াবেন না? কেন স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেবেন না? এরপরই এনিয়ে মামলা করেন রাজ্যপাল।

    কার্যত মুখ্য়মন্ত্রী সহ চারজনকে রাজ্যপাল সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছিল হাইকোর্ট। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কথা বলতে পারবেন না। এটা মূলত অন্তর্বর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। আপাতত বলা হয়েছে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়াও ও রিয়াদ হোসেন রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করতে পারবেন না।

    তবে এবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা যাবে। কিন্তু সেই মন্তব্যের মাধ্যমে যাতে কোনওভাবেই রাজ্যপালের মানহানি না হয় সেটা দেখতে হবে। অর্থাৎ মুখ্য়মন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে পারলেও তিনি মানহানিকর কিছু বা অবমাননাকর কিছু বলতে পারবেন না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)