গঙ্গায় মাঝ নদীতে হঠাৎ দুলুনি! ঢেউয়ের ধাক্কায় আতঙ্কে লঞ্চযাত্রীরা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলুড়ের দিকে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু, কিছুটা দূর জলপথে এগোতেই আচমকা ফুঁসে ওঠে নদী। লঞ্চ তখন মাঝ গঙ্গায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। কেউ কেউ বমি করতে শুরু করেন। যদিও পরে সকলেই নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছন।লঞ্চের যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে লঞ্চ যাত্রী সময় ঘোষ বলেন, ‘হুগলি নদীতে জলপথ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখেছি লাইফ জ্যাকেট থাকে না। আবহাওয়া দফতরের গাইডলাইন পেলে এই পরিস্থিতিতে লঞ্চ না চালানোই ভালো। ওই ভিডিয়োটি দেখে আতঙ্কে রয়েছি।’
এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল, এই ধরনের ঢেউ সামাল দিতে কি আদৌ প্রস্তুত লঞ্চগুলি? বেলুড় থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চলে সার্ফেস ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের অধীনে। সংস্থায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত অসিত দাস জানান, যে সমস্ত লঞ্চ এই রুটে চালানো হয় সবগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়। এই ধরনের ঢেউ সামলানোর ক্ষমতা প্রতিটি লঞ্চের রয়েছে, দাবি তাঁর। কোটালের সময় বা বড় বান এলে আগে থেকে জানা যায়। সেই সময় পরিস্থিতি বুঝে লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু, গঙ্গায় এই ধরনের বান কি স্বাভাবিক? এই প্রসঙ্গে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মালব্য মিশন ট্রেনিং সেন্টারের অধিকর্তা লক্ষ্মী নারায়ণ সৎপতি বলেন, 'বড় ঢেউয়ের দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, হাওয়া এবং দ্বিতীয়ত আচমকা কোনও বড় জাহাজ যদি চলে আসে।’ তবে বড় ঢেউ খুবই স্বাভাবিক, তা স্পষ্ট করেছেন তিনি।