• ‘অভিষেককে গ্রেফতার করুন…’সংসদে সৌমিত্রর সওয়াল শুনে শুভেন্দু কী লিখলেন?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • সৌমিত্র খাঁ সংসদে বক্তব্য রাখছেন। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, যেমন বলা হয়, যারা কাঁচের ঘরে বাস করেন তাঁদের পাথর ছোঁড়া উচিত নয়। আমি আমার ভাই সৌমিত্র খাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভালো বলেছ ভাই…'

    তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।

    কিন্তু কী এমন বললেন যে এত তারিফ করছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে সৌমিত্র অধিকারী বলছেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ১০০ কোটির অ্য়াটাচ করেছে ইডি সেই সম্পত্তির মালিক কে? এই জবাব দিতে হবে। তদন্ত করে দেখুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় কতটা দুর্নীতি করেছে। ৫ হাজার কোটি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করা দরকার।' সংসদে একেবারে জোরালো সওয়াল বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের।

    আর এই ভিডিয়োকে ঘিরে শোরগোল একেবারে চরমে। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে রীতিমতো প্রশংসা করেছেন তিনি।

    এদিকে এই ভিডিয়ো পোস্ট করতেই একাধিক নেটিজেন কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। একজন লিখেছেন, যত দ্রুত সম্ভব অভিষেককে গ্রেফতার করুন। তিনি ভারতের সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা।

    অপর একজন লিখেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ ফের সেই আগের মেজাজে। অপর একজন লিখেছেন, কেন অভিষেককে গ্রেফতার করেন না? তাঁর স্ত্রী সোনা পাচারে অভিযুক্ত। কিন্তু মনে হয় এগুলি খালি ভোটের ইস্যু।

    এদিকে মাঝেমধ্য়েই জল্পনা ছড়ায় যে এই হয়তো সৌমিত্র খাঁ তৃণমূলে যোগ দেবেন। কিন্তু এখনও সেটা হয়নি। সম্প্রতি ২১শে জুলাইতেও এনিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবে রূপ পায়নি।

    সৌমিত্র খাঁ ফেসবুকে ভিডিয়ো বার্তায় বলেছিলেন, 'সৌমিত্র খাঁ যেখানে আছে, সেখানেই থাকবে। যাঁরা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই... মিডিয়ায় যাঁরা সাংবাদিকতা করছেন, তাঁদের কাছে আমার অনুরোধ, সত্য খবর পরিবেষণ করুন। এটা শুনতে লজ্জা লাগে যে মিডিয়ার কিছু কিছু চ্যানেল, যাঁরা নিজেদের টিআরপি বাড়ানোর জন্যে সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে খবর করছেন, এটা খুব খারাপ। আমি ভীষণ ভাবে মিডিয়ার বন্ধুদের সম্মান করি। যাঁদের কথা এই খবর করা হচ্ছে, বা যাঁরা বলছেন যে সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যাবে, তাঁদের বলি - সৌমিত্র খাঁ লড়তে জানে। নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বিশ্বাস আমার রয়েছে। অমিত শাহজির পারদর্শিতা, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো বড় ভাই, সুনীল বনসলের মতো মানুষকে এখানে পেয়েছি। সেখানে দল দলের কোনও প্রশ্নই নেই। আমার রাজ্যের সমস্ত নেতৃত্বরা একসঙ্গে আছে। আমার সমস্ত সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি তাই অনুরোধ, প্রোপাগান্ডা ছড়াবেন না। আপনারা আমার সঙ্গে দেখা না করে কথা না বলে এই সব খবর ছড়াবেন না।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)