• প্রতিকার চাই! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে নালিশ রাজভবনের 'নির্যাতিতা'র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • একদিকে তো বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানি মামলায় একের পর এক মোড় আসছে। তার মধ্য়েই এবার রাজভবনের সেই মহিলা কর্মী যিনি রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন তিনি এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে চিঠি লিখলেন রাষ্ট্রপতিকে। এর আগে তিনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। এবার চিঠি লিখলেন রাষ্ট্রপতিকে। এখানেই শেষ নয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন। 

    সেই সঙ্গেই তিনি উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন। সপ্তাহখানেক আগেই তিনি এই ইমেল করেছেন বলে খবর। সেক্ষেত্রে এবার সংশ্লিষ্ট মহল থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাও দেখার। 

    প্রসঙ্গত গত ২ মে রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন। অভিযোগ নিয়ে যখন নানা চর্চা চলছে তখন রাজভবনে সিসি ক্য়ামেরার ফুটেজ সামনে আনা হয়। কিন্তু সেই ফুটেজে কেন নির্যাতিতাকে দেখানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। 

    এদিকে লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও মহিলার কথার ভিত্তিতে কিছু কিছু তথ্য় অনুসন্ধান চালিয়েছিল পুলিশ। সেই সময়ের কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছিল। এমনকী সেই সময় রাজভবনের কয়েকজন কর্মী মহিলাকে পুলিশের কাছে যেতে বাধা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই মামলাও শেষ পর্যন্ত গতি পায়নি। কার্যত কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে তা বন্ধ হয়ে যায়। 

    তবে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি কিছু কম হয়নি। নানা সময় তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্য়পালকে নিশান করে নানা কটাক্ষ করেছেন। 

    তবে শুধু রাজভবনেই নয়, দিল্লিতে এক নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছিল তাঁরই বিরুদ্ধে।

    একের পর এক অভিযোগ। সূত্রের খবর, দিল্লির সেই পাঁচতারা হোটেলের রুমও বুক করে দিয়েছিলেন রাজ্যপালের এক আত্মীয়। সেবার বঙ্গভবনে উঠেছিলেন রাজ্যপাল। তারপর সেখান থেকে রক্ষী ছাড়়াই তিনি চলে যান ওই হোটেলে। সেখানেই ওই নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নবান্নে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই শিল্পী। এরপর সেই অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল লালবাজারে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ডিসি পদমর্যাদার এক অফিসার এনিয়ে প্রাথমিকভাবে খোঁজখবর নেন। এমনকী যিনি অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছিল। অভিযোগের সত্যতা কতটা রয়েছে সেটাও যাচাই করা হয়েছিল। এরপর পুলিশ কমিশনারের অফিসের তরফে নবান্নে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)