• 'পড়াশোনা করে যে…' বিধানসভা থেকে বেরিয়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে ছুটলেন MLA মধুপর্ণা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • তিনি সর্বকনিষ্ঠা বিধায়ক বলেই পরিচিত। তিনি মধুপর্ণা ঠাকুর। এবার বাগদা উপনির্বাচনে তিনি জিতেছেন। মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে সেই মধুপর্ণা ঠাকুর বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিয়েই ছুটলেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। ঠাকুরনগরের পিআর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে তিনি প্রানিবিদ্যায় স্নাতক হয়েছিলেন। রাজনীতি, বিধানসভা আর পরীক্ষা তিনটের মধ্য়ে যেভাবে ভারসাম্য রক্ষা করেছেন তিনি তা অনেকেরই নজর কেড়েছে। 

    বয়স ২৫ বছর। তার মধ্যেই বিধায়ক হয়েছেন তিনি। কিন্তু তা বলে পড়াশোনাটা ছাড়তে রাজি নন। বিধানসভা প্রথম অর্ধটা কাটিয়েই তিনি ছুটলেন পরীক্ষা দিতে। সূত্রের খবর, কম্পিউটারের একটা কোর্স সবে শেষ হতে চলেছে। তারই পরীক্ষা ছিল। 

    তবে প্রচার চলাকালীনও তিনি পরীক্ষা দিয়েছেন। তখনও প্রচারের ঝড় সামলানো, তারপর পরীক্ষার টেনশন সবগুলিকে ঠিকঠাক করে পালন করেছেন। একটা সময় ঠাকুরনগর থেকে ট্রেনে চেপে তিনি পরীক্ষা দিতে যেতেন। আর সময়ের সঙ্গে হয়তো বদলে গিয়েছে জীবনটা। এদিন বিধায়ক লেখা গাড়িতে চেপেই গেলেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। 

    মধুপর্ণা থামতে চান না। এমএ করার পরে পিএইচডি করতে চান তিনি। একটা সময় ইচ্ছা ছিল চাকরি করার। কিন্তু জীবনের মোড় তাঁকে অন্য় রাস্তায় এনেছে। তিনি এখন বিধায়ক। এলাকার সুখ দুঃখের ভার, এলাকার উন্নয়নের অগ্নিপরীক্ষা দিতে হচ্ছে রোজ। 

    মধুপর্ণা ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়েছেন মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। এরপর সল্টলেকের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়েছেন তিনি। তারপর ঠাকুরনগরের পিআর কলেজ থেকে স্নাতক। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর স্নাতকোত্তর স্তরের লেখাপড়া করছেন। রাজনীতির সঙ্গেই লেখাপড়াটা সমান তালে চালিয়ে গিয়েছেন। আসলে মা সাংসদ। রক্তে রাজনীতিটা আছেই। ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপি সাংসদ দাদা শান্তনু ঠাকুরকে পরামর্শ দেন মধুপর্ণা।

     আবার ২৫ বছর বয়সি বিধায়ক মধুপর্ণা বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান পরীক্ষাকেন্দ্রে। আসলে থেমে থাকার কোনও ব্যাপার নেই। 

    ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে মধুপর্ণার বক্তব্য অনেকেরই নজর কেড়েছে। মধুপর্ণা ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বলেছিলেন, ওঁর এমনিতেই ডায়াবেটিস আছে। এত চাপ তিনি নিতে পারবেন না। আগামী লোকসভায় আপনার যত চাপ আছে আমায় দিয়ে দিন। আপনার জন্য় আপনার বোন সারা বাংলা ঘুরবে। আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না। আপনি ঘরে বসে থাকুন। আপনার জন্য আপনার বোন কষ্ট করবে।

    এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মুখে নারীদের পাশে থাকার কথা বললেও, নারীদের সম্মান প্রদর্শনের কথা বললেও বাস্তবে বিজেপি কতটা নারীদের পাশে থাকে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মধুপর্ণা। মধুপর্ণা বলেছিলেন, আমার একটা প্রশ্ন আছে বিজেপির কাছে। যখনই ভোট আসে নারী শক্তির কথা বলে। যখন ৭ এপ্রিল আপনাদের মন্ত্রী, আমার দাদা শান্তনু ঠাকুর মাঝরাতে আমাদের বের করে দিয়েছিলেন তার তো কোনও উত্তর দিলেন না। তার তো কোনও বিচার হল না কেন? সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে লড়াই করার কোনও ক্ষমতা বিজেপির নেই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)