• পার্থদের জামিনের মামলায় বিরাট মোড়! মুখ্য়সচিবের অনুমোদন ছাড়াই করা যাবে শুনানি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • নিয়োগ মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। সেই সঙ্গেই এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্য়শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্য়ায়, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এসএসসির প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা সহ শিক্ষা দফতরের ১১জন আধিকারিককে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। তারা সম্প্রতি জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন।

     তবে এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়দের জামিনের মামলার শুনানিতে মুখ্য়সচিব বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই মামলার শুনানি হবে। 

    এদিকে মামলাকারীদের আইনজীবীরা জানান, অপর অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহা ও প্রসন্ন রায়কে ইতিমধ্যেই জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু অন্যরা কেন এখনও জামিন পাচ্ছেন না? এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কারো অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। তাঁদের অনুমোদন ছাড়াই শুনানি হবে।

    সেই সঙ্গেই তাদের জামিন সংক্রান্ত ব্যাপারে কোথায় আপত্তি রয়েছে সেটাও সিবিআইয়ের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে আদালত। 

    জামিনের আবেদনের মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া যদি শুরু করতে হয় তবে তাতে রাজ্য়ের মুখ্য়সচিবের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। আর বিধায়ক বা মন্ত্রীর ক্ষেত্রে সাধারণত স্পিকারের অনুমোদন লাগে। এদিকে মুখ্যসচিব তাঁর অবস্থান জানাননি। এমনকী মুখ্য়সচিব এনিয়ে কোনও উত্তরও দেননি। তবে  আদালত জানিয়ে দেয় এই মামলার জামিনের আবেদনের শুনানিতে সংশ্লিষ্ট কারোর অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। 

    সেক্ষেত্রে এবার পার্থ সহ অন্যান্যদের জামিন কবে মেলে সেটাই এখন দেখার। এদিকে যে কোনও শর্তে জামিন পেতে চাইছেন পার্থ সহ অন্যান্যরা। তবে কি সেই দিন এবার আসন্ন? 

    এদিকে ইডি সূত্রে খবর, কলকাতার পাটুলি, বীরভূমের বোলপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর সহ একাধিক জায়গা থেকে বেশ কিছু জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা।

    অন্যদিকে যে সম্পত্তি সম্প্রতি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেটা সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে নয়। তবে সেই সম্পত্তিগুলি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলেই তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন ইডির অফিসাররা। তার মধ্যে শুধু বোলপুরেই অন্তত পাঁচটি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। যার বাজারদর কয়েক কোটি টাকা। জমি ছাড়াও একাধিক সংস্থার কাছ থেকে নগদ টাকাও উদ্ধার করেছেন ইডির অফিসাররা। যা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলে মনে করা হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই জমি, সম্পত্তি এবং টাকার যোগ আছে বলে ইডির দাবি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)