• হিমঘরের পচা আলু-পেঁয়াজের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আরামবাগ: হিমঘরের পচা পেঁয়াজ ও আলুর দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে অবস্থান বিক্ষোভ এবং রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করল একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং গ্রামবাসীরা। শুক্রবার সকালে আরামবাগের শ্যাম গ্রামের আরামবাগ-তারকেশ্বর রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় আরামবাগ থানার পুলিস জানিয়েছে, একটি ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যাম গ্রামে আরামবাগ-তারকেশ্বর রাস্তার পাশে একটি হিমঘর রয়েছে। তার পাশে রয়েছে নবাসন প্রাথমিক বিদ্যালয়। অভিযোগ ওই হিমঘরের বাউন্ডারির ভেতরে একটি কোনায় পচা পেঁয়াজও পচা আলু জমাছিল। তা থেকে দীর্ঘ দুমাস ধরে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। শুধু তাই নয় ওই পচা আলু এবং পেঁয়াজের জমা থাকার ফলে গ্রামের বেশ কিছু এলাকায় মশা মাছির উপদ্রব আগে থেকে অনেক বেড়ে গিয়েছিল যার ফলে গ্রামেতে রোগ জ্বালার প্রকোপ বাড়ছিল। অভিযোগ, এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামের মানুষজনহিমঘর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এতে গ্রামবাসীদের মনে একটা চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এমত অবস্থায় শুক্রবার সকালে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক-অভিভাবকেরা পচা আলু এবং পেঁয়াজ সরিয়ে ফেলার দাবিতে হিমঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপরে গ্রামের মানুষজন একত্রিত হয়ে আরামবাগ-তারকেশ্বর প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে ক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। এর জেরে ওই রাস্তায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। বহুদূর পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পৌঁছায় আরামবাগ থানায়। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতির সামাল দেয়। এ প্রসঙ্গে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর বাবা পুলক কান্তি বোস বলেন, দীর্ঘ দু মাস ধরে পচা গন্ধে আমাদের ছেলেমেয়েরাস্কুলে গিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। গ্রামে  মশা মাছির উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে রোগ জ্বালাও বাড়ছে। আমরা বারবার পঁচা আলু, পচা পেঁয়াজসরিয়ে ফেলার জন্য বলেছি। কিন্তু আমাদের কথা শোনা হয়নি, তাই আমরা বাধ্য হয়েই সকলে মিলে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি। হিমঘর কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের তরফ থেকে দু-তিন দিনের মধ্যে ওই পচা আলু এবং পেঁয়াজ সরিয়ে ফেলার আশ্বাসদেয়া হয়েছে। যদি ওই দু-তিন দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হব। এ প্রসঙ্গে ওই হিম ঘরের এক কর্মচারী রবিপ্রসাদ সিং বলেন, বৃষ্টি হওয়ার ফলে জেসিবি মেশিন না পাওয়াই ওই পচা পেঁয়াজ ও আলুগুলি সরানো যায়নি। আমার খুব তাড়াতাড়ি সেগুলিসরিয়ে ফেলবো। (নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)