সংবাদদাতা, দিনহাটা: পরিস্রুত জলের জন্য অনেকেই এখন জারবন্দি জলের উপর নির্ভরশীল। সেই সুযোগে দিনহাটায় গজিয়ে উঠেছে জলের প্লান্ট। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেই জল বিশ্বাস করে খাচ্ছেন, তার অনুমোদন আছে কি? সেই খোঁজ নিতেই শুক্রবার দিনহাটা মহকুমাজুড়ে জলের প্লান্টে অভিযান করল প্রশাসন। দিনহাটা মহকুমা শাসক বিধু শেখরের নেতৃত্বে দিনহাটা-১ এবং দিনহাটা-২ ব্লকের একাধিক প্লান্ট পরিদর্শন করা হয়। দিনহাটা মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় গিরি এবং দিনহাটা মহকুমার অফিসার রাহুল কার্জি অভিযানে হাজির ছিলেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় একটি প্লান্ট সিল করেছে প্রশাসন। দুটি প্লান্টের জলের নমূনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মহকুমা শাসক বলেন, অবৈধ প্লান্টের বিরুদ্ধে অভিযান জারি থাকবে।
প্লান্ট চালানোর জন্য নানা রকম অনুমতি দরকার। ভূগর্ভস্থ জল তোলার জন্য অনুমতি দরকার। কিন্তু এদিন অভিযানের পর প্রশাসনের কর্তারা দেখেন, বেশিরভাগ প্লান্টের কাছে জল তোলার অনুমতি নেই। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই জল তুলছে তারা। লেবেলিং ছাড়াই ২০ লিটারের জারে জল ভর্তি করা হয়েছে। পরিমাণমতো মিনারেল যোগ করা হয়নি। গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসা চালাচ্ছিল প্লান্টগুলি। বাকি প্রয়োজনীয় অনুমতি না থাকায় গোসানিমারির একটি প্লান্ট সিল করেন মহকুমা শাসক।
এদিকে, দিনহাটা-২ ব্লকের সাহেবগঞ্জে একটি পানীয় জলের প্লান্টে অভিযান চালানো হয়। সেই প্ল্যান্টের জলের নমুনা টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোসানিমারিতে আরেকটি প্লান্টের জলের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। লাগাতার এই ধরনের অভিযান চালানোর দাবি তুলেছেন তারা। (দিনহাটায় বটলিং প্লান্টে অভিযান চালাচ্ছেন দিনহাটার মহকুমা শাসক বিধু শেখর।-নিজস্ব চিত্র)