• মেডিক্যাল সুপারের অভিযোগে পড়ুয়া নিগ্রহের তদন্ত যাদবপুরে
    বর্তমান | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: যাদবপুরের ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় যাবতীয় বিতর্কে জল ঢেলে দিল পড়ুয়ার পরিবার। তাদের দাবি, নির্যাতনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ভুল বোঝাবুঝি থেকে ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ছেলে। এ নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। পরিবার সূত্রেই খবর, ওই ছাত্র এখন সুস্থ। তাঁকে কলকাতার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখা হয়েছে। যদিও ঘটনাটিকে সহজভাবে নিচ্ছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন, অনেক প্রশ্ন করা সত্ত্বেও ছাত্রটি বা তাঁর পরিবার কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। তবে, আমাদের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট মিতালী দেবকে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। তাছাড়া, ল্যাপটপ চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ছাত্রটিকে ঘিরে ধরে যে উত্যক্ত করা হয়েছে, তাও জানা গিয়েছে। সেটা কেন হল তা জানা দরকার। তদন্তের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। তাই উপাচার্য কলকাতায় ফিরলে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে তদন্তের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানা এলাকায় বাড়ি ওই ছাত্রের। পড়েন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। চুরির অপবাদে বৃহস্পতিবার তাঁকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যরা কলকাতায় গিয়ে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন। শুক্রবার  ছাত্রের বাবা মেঘবরণ প্রামাণিক বলেন, ‘ছেলের শরীর খারাপ শুনে কলকাতায় গিয়েছিলাম। র‌্যাগিং কিংবা নির্যাতনের মতো কোনও ঘটনাই ঘটেনি।’
  • Link to this news (বর্তমান)