• ডাকাতরানি চাচির বাড়ির বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা হত লুটের সামগ্রী
    বর্তমান | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডাকাতরানি ‘চাচির’ বাড়ি ঘিরে ঘনীভূত রহস্য। প্রাসাদোপম সেই বাড়ির ভিতর রয়েছে বাঙ্কার। এখানেই রাখা থাকত লুটের সামগ্রী। সমস্তিপুরের চাচি ওরফে আশা মাহাতোর বাড়ির আন্দরসজ্জাও নজর কাড়বে। বিহারের সমস্তিপুরে বিলাসবহুল এই বাড়ি তৈরি করতে বিপুল টাকা কোথা থেকে এল, সেই খোঁজ শুরু করেছে রাজ্য পুলিস। যদিও চাচির দাবি, সবটাই পারিবারিক সম্পত্তি। 

    ডোমজুড়ে ডাকাতির তদন্তে নেমে চাচির সন্ধান পান আধিকারিকরা। জানা যায়, সুবোধে গ্যাংয়ের সদস্য এই মহিলা দলের লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া এবং লুটের সোনা হাতবদল করত। তাকে জেরা করতে গিয়ে তদন্তকারীরা বুঝতে পারছেন কী ধাতুতে গড়া আশা। পুলিস আধিকারিকদের প্রশ্ন শুনলে, একটাই উত্তর— ডাকাতি কী জিনিস সে জানেই না। নিজেকে আড়াল করার পাশাপাশি বিভ্রান্ত করছেন তদন্তকারীদের। মূল লক্ষ্য হল যেভাবেই হোক পুলিস হেফাজতের মেয়াদ কাটিয়ে দেওয়া। যদিও সে একাধিক ডাকাতিতে জড়িত ছিল তার ডিজিটাল নথি, ফিঙ্গার প্রিন্ট তদন্তকারীদের কাছে রয়েছে। 

    অভিযুক্ত জবাব এড়ানোয় তদন্তকারীরা সমস্তিপুরের তার কাজকারবার নিয়ে তথ্যসংগ্রহ করতে যান। একইসঙ্গে লুটের টাকায় বিহারে কোথায় কোথায় সম্পত্তি করেছেন তার খবরাখবর নেওয়া শুরু হয়। সমস্তিপুরে তার বাড়িতে গিয়ে আধিকারিকদের চোখ কপালে ওঠে। দু’তলা ওই বাড়িটি তৈরি হয়েছে বছর পাঁচেক আগে। বাড়ির সামনের অংশের ডিজাইন বিদেশি স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি। দু’তলায় মিলিয়ে গোটা পাঁচেক ঘর রয়েছে। ঝাঁ চকচকে বাড়ির মেঝেয় বসানো মার্বেলও বেশ দামি। জানালা দরজা তৈরি হয়েছে বার্মাটিক সেগুন কাঠ দিয়ে। বাড়ির ভিতর থাকা লাইট ও অন্যান্য সামগ্রী যে কোনও বড় ব্যবসায়ী বা শিল্পপতির প্রাসাদকে হার মানাবে। বিহার পুলিস সূত্রে খবর, বাড়ির ভিতর গর্ত খুঁড়ে তৈরি করা হয়েছে বাঙ্কার। এমনভাবে তার উপর মার্বেল বসানো যে কারও পক্ষে বোঝা দায় বাঙ্কার রয়েছে নীচে। সূত্রের খবর, এই বাঙ্কারের গভীরতা ২০ ফুট। যথেষ্ট চওড়া। অনায়াসে যে কেউ এখানে লুকিয়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এটি ব্যবহার করা হতো লুটের মাল রাখার জন্য। যাতে বাড়িতে তল্লাশি হলে সোনার খোঁজ না পাওয়া যায়। 
  • Link to this news (বর্তমান)