• ‘ছাড়ুন তো ওসব পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারি’, CBIএর চার্জশিট নিয়ে জবাব এড়ালেন ফিরহাদ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অস্বস্তি যেন কাটছেই না। শুক্রবার পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে ১৭ পুরসভায় বেলাগাম দুর্নীতির উল্লেখ রয়েছে। সেই দুর্নীতি যখন হয়েছে তখন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ছিলেন ফিরহাদই। যদিও এই দুর্নীতিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন মন্ত্রীমশাই। তিনি বলেন, ‘ছাড়ুন তো ওসব পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারি!’

    পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে শুক্রবার অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, রাজ্যের যে ১৯টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করে তারা তদন্ত শুরু করেছিল তার মধ্যে ১৭টিতে দুর্নীতির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের এই ১৭টি পুরসভায় যত নিয়োগ হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই বেআইনি। এই ১৭টি পুরসভায় তৃণমূল জমানায় যে ৩,৬৫০টি নিয়োগ হয়েছে তার মধ্যে ১,৮১৯টি নিয়োগই ভুয়ো। ভুয়ো নিয়োগের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। সেখানে প্রায় ৩৫০টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। এর পর রয়েছে বরাহনগর, টিটাগড়, কৃষ্ণনগরের মতো পুরসভা। তালিকায় থাকা পানিহাটি ও শান্তিপুর পুরসভাকে ক্লিনচিট দিয়েছে সিবিআই।

    সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে প্রশ্নের মুখে ফিরহাদ বলেন, ‘ছাড়ুন তো ওসব পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারি! আগে শুভেন্দু অধিকারীকে ছুঁয়ে দেখাক। যে কারণে আমাকে গ্রেফতার করেছিল সেকারণে শুভেন্দু গ্রেফতার হবে না কেন?’

    শুক্রবার সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজ়োনের মাধ্যমে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে পুরসভাগুলিতে। জেরায় সেকথা স্বীকার করেছেন অয়ন শীল। তবে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। তবে বেশ কিছু নথির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

    সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, কেন পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত বন্ধ করতে রাজ্য সরকার হাইকোর্টে গিয়েছিল তা এবার বোঝা যাচ্ছে। টাকার বিনিময়ে নিজেদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন সেটা জলের মতো পরিষ্কার।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)