• ১৭ পুরসভায় বেআইনি নিয়োগ ১৮৫০ জনের, চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের
    এই সময় | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • এই সময়: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুরসভায় কর্মী নিয়োগেও কেলেঙ্কারির হদিশ পেয়েছিল ইডি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সেই মামলায় আদালতে চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালের পর থেকে ১৭টি পুরসভায় ১৮৫০ জনের নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে।এরমধ্যে সব থেকে বেশি কারচুপি হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। এর পরে দুর্নীতিতে এগিয়ে কামারহাটি, বরাহনগর এবং টিটাগড় পুরসভা। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় সংস্থা ব্যবসায়ী অয়ন শীলের সংস্থা এসবিএস ইনফোজ়েনের খোঁজ পায়। তদন্তে জানা যায়, শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রভাবশালীদের সঙ্গে আঁতাঁত করে বেশ কিছু পুরসভায় বেআইনি নিয়োগের পিছনে ওই সংস্থার হাত ছিল।

    কারণ, তারাই নিয়োগের পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল। শিক্ষায় মতোই এ ক্ষেত্রে-ও ওএমআর শিট জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

    সিবিআই তদন্তে হাওড়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন পুরসভার নাম উঠে আসে। আদালতে পেশ করা ৩২ পাতার ওই চার্জশিটে কোন পুরসভায়, কী ভাবে, কতজনের বেআইনি নিয়োগ হয়েছিল--তা উল্লেখ করা হয়েছে।

    সিবিআই সূত্রে খবর, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে বিভিন্ন পুরসভায় ৩৬৫০ জনের চাকরি হয়েছিল। তার মধ্যে ১৮৫০ জনের ক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, রানাঘাটে ১০১, কৃষ্ণনগরে ২০০, দক্ষিণ দমদমে ৩২৯, কামারহাটি পুরসভায় ৩০৩, টিটাগড় পুরসভায় ২২১, বরাহনগরে ২৭৬, নিউ ব্যারাকপুর পুরসভায় ৭৪, উত্তর দমদমে ৬৪, দমদম পুরসভায় ৬১ জনের।

    এছাড়া ডায়মন্ড হারবার, হালিশহর, কাঁচড়াপাড়া, টাকি এবং উলুবেড়িয়া পুরসভায় নিয়োগেও কারচুপি হয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। এ বিষয়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়ের বক্তব্য, ‘চাকরির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয় ডিরেক্টর অব লোকাল বডি। সিবিআই দুর্নীতি বলছে, কিন্তু এখনও তা প্রমাণ হয়নি।’

    কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার কথায়, ‘আমার পুরসভায় কোনও দুর্নীতি হয়নি। যদি কেউ করে থাকে আমার জানা নেই।’ আবার টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘আমি অয়ন শীলকে চিনতামই না। চেয়ারম্যান তো এত কিছু দেখে না। কে, কী ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।’

    তদন্ত করলেও সিবিআইয়ের চার্জশিটে অবশ্য পানিহাটি এবং শান্তিপুর পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
  • Link to this news (এই সময়)