বাংলার বকেয়া ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা আদায়ের দাবিতে এদিন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেন মমতা। কিন্তু নীতি আয়োগের সেই বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। "আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। আমার বলার সময় থামিয়ে দেওয়া হয়। আমি বলতে শুরু করার ৫ মিনিটের মধ্যে আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা অপমানজনক," নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে তীব্র তোপ দাগেন মুখ্য়মন্ত্রী। অভিযোগ করেন, "এনডিএ শরিকদের বলতে বেশি সময় দেওয়া হয়। চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০ মিনিট বলতে দেওয়া হয়। অথচ আমি বঞ্চনার কথা বলতেই থামিয়ে দেওয়া হয়। বলতে শুরু করার ৫ মিনিট পরই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা অপমানজনক। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি বৈষম্য করা উচিত নয়।"
কিন্তু মমতার দাবিকে খারিজ করে দিয়েছেন নির্মলা সীতারামণ থেকে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, "কারও ওপর অভিযোগ তোলার আগে মমতা দিদির আগে নিজের দিকে তাকানো উচিত। উনি আগে বলার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। উনি বলেন ওনার টাইমে। পরে বাইরে এসে এসব বলছেন। সাংবিধানিক পদে থেকে এত বড় মিথ্যা কথা বলা নিন্দনীয়। ওনাকে বরং আগে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এখন রাজনীতি করার জন্য উনি এসব বলছেন।" শেখাওয়াত আরও বলেন, "৩ কোটি লাখপতি দিদির মাত্র একলাখ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। মমতাদিদিকে প্রশ্ন করা উচিত কেন পশ্চিমবঙ্গ লোয়েস্ট পারফর্মিং রাজ্য? একশো দিনের কাজ থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে অনেক দুর্নীতি পাওয়া গেছে স্যাম্পেল সার্ভেতে। এখন বাজেট নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। মানুষকে বাজেট নিয়ে বিভ্রান্ত করছে তৃণমূল।"
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আমরা সবাই তাঁর কথা শুনেছি। প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে বলার জন্য সময় বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সময় প্রত্যেকের টেবিলের সামনে স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছিল। তিনি মিডিয়ায় বলেছেন যে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।" ওদিকে বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন এম কে স্ট্যালিনও।