সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: রানাঘাট জোড়া খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়! গত বৃহস্পতিবার আনুলিয়া পঞ্চায়েতের মনসাতলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই যুবকের ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল সেই বাড়ির মালিক দীপক স্বর্ণকারকে।
তদন্ত শুরু করে শুক্রবারেই তাঁকে আটক করে রানাঘাট থানার পুলিশ (Ranaghat Police)। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করার পর শনিবার দীপককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন দীপককে রানাঘাট মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় দীপকের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রানাঘাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুমন চক্রবর্তী ও তাঁর গাড়ি চালক রূপম দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন সকাল ১১ টা নাগাদ চালক রূপমকে সঙ্গে নিয়ে সুমন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় রানাঘাট পুরসভার (Ranaghat Municipality) উপকণ্ঠে থাকা আনুলিয়া পঞ্চায়েতের মনসাতলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই দুই যুবকের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের শরীরের একাধিক জায়গায় কোপানোর চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, দুজনেরই মাথায় গুরুতর আঘাতও লেগেছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
মৃত ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দীপকের কী সম্পর্ক ছিল? আগের কোনও ঝামেলার কারণে এই খুন কী না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। শুধু কী শত্রুতা? না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।