প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সহ শিক্ষককে হেনস্থার অভিযোগ, পথে নেমে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের
এই সময় | ২৭ জুলাই ২০২৪
সহ-শিক্ষককে হেনস্থা করার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে সোচ্চার পড়ুয়ারা। ঘটনাটি বর্ধমানের ধাত্রীগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের। শনিবার স্কুলের সামনে কালনা বর্ধমান রোড অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান পড়ুয়ারা। পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। বুঝিয়ে পড়ুয়াদের ক্লাসে পাঠানো হয়।ঠিক কী নিয়ে বিতর্ক? জানা গিয়েছে, গত বুধবার ধাত্রীগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী সরকার স্কুলে আসতে দেরি করায় সহ-শিক্ষক সুদর্শন নাথের সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয়। কেন প্রধান শিক্ষিকা দেরি করে স্কুলে এসেছেন? তা নিয়ে প্রশ্ন করাতেই সুদর্শন নাথকে হেনস্থা এবং মারধর করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জল গড়ায় থানা পর্যন্ত। শনিবার স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পা রাখতেই পড়ুয়ারা তাঁকে ঘিরে ধরেন বলে অভিযোগ। কেন স্কুলের অপর শিক্ষককে হেনস্থা করা হল? এই প্রশ্ন তোলে পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ করতে শুরু করে তারা। ফলে এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়।
থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং পড়ুয়াদের বুঝিয়ে পথ অবরোধ সরানো হয়। যদিও এই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকার দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে সহ-শিক্ষককে হেনস্থা করার যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। কাবেরী সরকার বলেন, ‘আমাকেই হেনস্থা করা হয়েছিল ওই দিন। আমার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে ফেলা দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুজেট দেখা হোক।’ তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। আর সেই জন্য অপরিণত ছাত্রদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
পাল্টা সুদর্শন নাথ তোপ দেগেছেন কাবেরীদেবীদের বিরুদ্ধে। তাঁর উপর হামলা করেছিলেন প্রধান শিক্ষিকা, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। ছাত্রদের বিক্ষোভের জেরে স্কুলের পঠন পাঠন ব্যাহত হয়। গোটা ঘটনাটি প্রসঙ্গে জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্রীধর প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি অবগত ছিলেন না। ঘটনাটি নিয়ে খোঁজখবর করা হবে।