• কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, গ্রেফতার নিউ ব্যারাকপুরের দম্পতি
    এই সময় | ২৭ জুলাই ২০২৪
  • বড়সড় আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটে নিউ ব্যারাকপুরে। মোটা টাকা সুদ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রায় ৪- ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে নিউ ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত দম্পতি পলাতক ছিল। একদিনের মধ্যেই পুলিশের জালে দম্পতি।নিউ ব্যারাকপুর এলাকার প্রায় ৪০০ জন মহিলাকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় চার-পাঁচ কোটি টাকা তুলে গায়েব হওয়া রায় দম্পতিকে অবশেষে ধরল পুলিশ। প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসতেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। কারও কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা, কারও কাছ থেকে সোনার গয়না সহ কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করে পালিয়ে গিয়েছিল ওই দম্পতি বলে অভিযোগ। নিউব্যারাকপুর থানার অন্তর্গত নব কামারগাথি কলোনি এলাকার বহু পরিচারিকা ও গরিব মহিলাদের কাছ থেকে মোটা টাকা সুদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে, কারও বাড়ি করে দেওয়া হবে, কাউকে গয়না করে দেওয়ার নাম করে তোলা হয় এই বিপুল অঙ্কের টাকা।

    প্রতারণার বিষয়টি যাতে কেউ বুঝতে না পারে, তার জন্য রীতিমতো খাতায় সই করে লিখিয়ে নেওয়া হতো। স্থানীয় এলাকায় মাছের ব্যবসা সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত বিনয় রায়। সেখানেই টাকা খাটিয়ে দ্বিগুণ টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চলত এই প্রতারণা। অবশেষে পুলিশের জালে এদিন ধরা পড়ল বিনয় রায় ও স্ত্রী আরতী রায়। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    তবে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হওয়ায় টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে নিউ বারাকপুর থানায় বিক্ষোভ দেখায় এলাকার শতাধিক মহিলারা। একাধিক গ্রামবাসীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ, ১০ লক্ষ টাকা করে তোলা হয়েছে বলেঅভিযোগ করা হয়েছে। যদিও মাসে মাসে সুদ দেওয়ার কথা থাকলেও ছ’মাস কেটে গেলেও কোনওরকম টাকা পাননি মহিলা। বিষয়টি সামনে আসতে এখন রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে এলাকার মহিলাদের।

    পুলিশের কাছে গ্রামবাসীদের দাবি, যেভাবেই হোক ফিরিয়ে দেওয়া হোক তাঁদের কষ্টার্জিত টাকা। পুলিশের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, প্রতারিতদের অল্প অল্প করে হলেও কিছু পরিমাণ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার। এদিন অভিযুক্তদের ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হলে তাঁদের গাড়ি ঘিরে ধরেও বিক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তদের বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়।
  • Link to this news (এই সময়)