এই সময়, গঙ্গাসাগর: রাজ্যের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র গঙ্গাসাগরের ভাঙন রুখতে সাহায্য নেওয়া হবে মাদ্রাজ আইআইটির। ভয়াবহ এই ভাঙন রোখার জন্য অতীতেও এই আইআইটির সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় একটি বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দিন ওই এলাকায় সমীক্ষা শুরু করল সেচ ও সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তর। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। গত কয়েকদিন ধরে সাগরমেলার এক নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর স্নানঘাট পর্যন্ত সমুদ্রতটে ভয়াবহ ভাঙনে সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে পূর্ত দপ্তরের একটি কংক্রিটের রাস্তা, বিদ্যুতের খুঁটি, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জলের লাইন, অস্থায়ী দোকান ও বহু গাছ।
এই মুহূর্তে ভাঙন রুখতে না পারলে আগামী দিনে তলিয়ে যাবে কপিলমুনির আশ্রমও। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনকবলিত এলাকায় সমীক্ষা শুরু করলেন সেচ ও সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা। মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রায় ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে মাটি ও বালি সংগ্রহ করা হয়েছে। জোয়ার ও ভাটার সময় কতটা জলস্ফীতি হচ্ছে সেটাও পরিমাপের কাজ চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার উপগ্রহচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী বছর সাগরমেলার আগে কী ভাবে এই ভাঙনের বিপদ রোখা যায় সেই পরিকল্পনা শুরু করেছে সেচ দপ্তর।
গত দু’দিনের পর্যবেক্ষণের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করা হবে সেচ দপ্তরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির কাছে। তবে এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত সামনের আরও দু’টি বড় কটাল নিয়ে। ভাঙতে ভাঙতে সমুদ্র যে ভাবে দ্রুত এগিয়ে আসছে তাতে আগামী দু’টি কটালে আরও বিস্তীর্ণ এলাকা সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না এলাকা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বাসিন্দারাও।
সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেচ দপ্তর গঙ্গাসাগরের উপকূলের ভাঙন কবলিত এলাকা সাগরমেলার আগে মেরামতের প্রস্তুতি নিতে শুরু করল। বঙ্গোপসাগরে জলের উচ্চতা এতটাই বেড়েছে যে ভাঙন রুখতে মাদ্রাজ আইআইটির সাহায্য নেওয়া হবে। পর্যালোচনার পর রিপোর্ট দেখে বাকি সমস্তটাই ধাপে ধাপে এগোতে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও উদ্বিগ্ন। সুন্দরবন এলাকার ভাঙন রোধ করাটাই এখন সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।’