• গৌরীশঙ্করের পথে হেঁটে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে আরও একধাপ এগোলেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র ...
    আজকাল | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক : মুর্শিদাবাদ জেলার বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে এই জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি। মুর্শিদাবাদের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষের পর এবার বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র (কাঞ্চন)আরও একধাপ এগিয়ে মুর্শিদাবাদ-মালদা -দক্ষিণ দিনাজপুর এবং নদিয়া জেলার কিছুটা অংশকে জুড়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুললেন।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলে আগামী সোমবার তিনি গোটা বিষয়টি বিধানসভায় উত্থাপন করতে পারেন বলে শনিবার জানিয়েছেন সুব্রত মৈত্র।

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মুর্শিদাবাদ-মালদা এবং বিহার-ঝাড়খণ্ডের কিছুটা অংশ নিয়ে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন। মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ শুক্রবার সেই দাবিকে সমর্থন করে জানিয়েছেন ২০২২ সালে তিনি একই দাবী জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখেছিলেন।

    শনিবার বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন," লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন মুর্শিদাবাদ জেলার এক তৃণমূল বিধায়ক বলেছিলেন আমরা ৭০ ভাগ আর ওরা ৩০ ভাগ। গলা কেটে ভাগীরথী নদীতে ভাসিয়ে দেব। এই ধরনের ঘৃণা ভাষণের পর থেকে আমরা ভীত। একথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই মুর্শিদাবাদ-মালদা ,নদিয়ার কিছুটা অংশ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে আমাদের সংখ্যা কোথাও ৩০ শতাংশ বা কোথাও ৪০ শতাংশ।"

    তিনি আরও বলেন," এই সংস্কৃতি পশ্চিমবঙ্গের নয়। কিন্তু এর জন্য দায়ী অনুপ্রবেশ। যেভাবে বাংলাদেশ ,পাকিস্তান, মায়ানমার থেকে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার অনুপ্রবেশকারী ঢুকছে তাতে আমরা আতঙ্কিত। দুর্গা পুজো, রামনবমী, সরস্বতী পুজো এমনকি মৃতদেহ নিয়ে গেলেও অশান্তির মধ্যে পড়ছেন সনাতনী ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। জেলার বিভিন্ন গ্রামে তাঁদের সংখ্যা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কর্তারা সব জেনেও চুপ।"

    তিনি অভিযোগ করেন," আন্তর্জাতিক সীমানা পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব বিএসএফের হলেও রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে তারা সীমানা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারছে না। এর জন্য প্রয়োজনীয় জমি, জল ,বিদ্যুৎ রাজ্য সরকার দিচ্ছে না।"

    তিনি বলেন," নিশিকান্ত দুবে এবং গৌরীশঙ্কর ঘোষ যে দাবী তুলেছেন আমি সেই দাবি সম্পূর্ণ সমর্থন করি। গত ৫০ বছরের মধ্যে এই জেলাগুলোর জনবিন্যাস ব্যাপকভাবে পাল্টে গেছে। মুর্শিদাবাদ জেলাতে কিছু বিধানসভা রয়েছে যেখানে ২০-৩০ বছর আগেও সনাতনীদের বাড়িঘর ছিল। কিন্তু এখন তারা সেখান থেকে বাড়িঘর বিক্রি করে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।"
  • Link to this news (আজকাল)