• বেআইনি দখলকারি বরদাস্ত নয়, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক দোকান, চন্দননগরে অব্যাহত উচ্ছেদ অভিযান ...
    আজকাল | ২৮ জুলাই ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: কোনও রকমের বেআইনি দখলদারি বরদাস্ত করা হচ্ছে না। সরকারি জায়গায় যা কিছুই বেআইনি নজরে পড়ছে, সবই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে চন্দননগরে। উচ্ছেদ অভিযানে রেয়াত করা হচ্ছে না শাসক দলের দলীয় কার্যালয়কেও। প্রয়োজনে ইলেকট্রিক করাত ব্যবহার করে কেটে উড়িয়ে ফেলা হচ্ছে ছোট বড় টিনের শেড।

    সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য জুড়ে পুরসভা এবং পুরনিগম এলাকায় দখল হয়ে থাকা সরকারি জায়গা ফাঁকা করতে উদ্যোগী হয় পুর প্রশাসন। সেই অনুযায়ী সরকারি জমি দখল করে থাকা বেআইনি দখলদারদের পুরসভা এবং পুর নিগমের তরফে প্রথমে নোটিশ দিয়ে জমি খালি করার বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপর মাইকিং করে চূড়ান্ত সময় সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। নোটিশ পাওয়ার পর চন্দননগর কর্পোরেশন এলাকার অনেকেই দখলমুক্ত করে অন্যত্র সরে যান।

    তার পরেও যারা প্রশাসনের তরফে বেঁধে দেওয়া চূড়ান্ত সময়সীমা লঙ্ঘন করেছেন, নিজে থেকে সরে যাননি, প্রশাসনের তরফে সেই সমস্ত দখলদারদের সরিয়ে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। অনেকেই দখল করা জায়গায় দোকান এবং কংক্রিটের স্লাব সরিয়ে নিয়েছেন। আর যারা দখল তুলে বা সরিয়ে নেননি, শনিবার তাঁদের কংক্রিটের স্লাব এবং দোকানের শেড ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে দখল মুক্ত করার কাজ চালানো হয়।

    এদিন চন্দননগর কর্পোরেশনের এলাকার তালডাঙ্গার বোড় দিঘির ধার এলাকায় দখল মুক্তের কাজে নামে কর্পোরেশনের পিডব্লিউডি বিভাগ। সরকারি জমিতে থাকা পাকা নির্মাণ থেকে শুরু করে টিনের শেড, কংক্রিট যাবতীয় ভেঙে দেওয়া হয়। হাতুরি দিয়ে মেরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বেআইনি কংক্রিটের স্লাব। চন্দননগর পুরনিগমের তরফে জারি থাকা এই উচ্ছেদ অভিযানে কোনও প্রকারভেদ নজরে পড়েনি। ফলে কোনও রাজনৈতিক দোষারোপ বা পক্ষপাতের অবকাশ থাকেনি। কারণ উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতেই উর্দিবাজার এলাকায় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। কর্পোরেশনের তরফে পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার আশীষ ভৌমিক দাবি করেন, ফুটপাত দখল মুক্ত করার কাজ চলছে। পুরনিগমের সর্বত্রই এই কাজ চালানো হবে। পুর প্রশাসনের নির্দেশে অস্থায়ী দখল সরানো হচ্ছে। রাস্তা পরিষ্কার জন্য এই কাজ চলছে।

    ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)