পরে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলাম, তারপরে অধ্যক্ষ বলতে বলেছিলেন, কিন্তু বলতে দেননি। তারপরে আবার বলেছি। এরপরেই সভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। সুকান্ত মজুমদার বাংলাকে ভাগ করতে চাইছেন, এটা আমরা মানব না। উত্তর-পূর্বের দায়িত্বে থেকে একজন মন্ত্রী কীভাবে বলেন এই ধরনের কথা? বাংলা ওভাবে ভাগ করা যায় না। কাল আবার নিশিকান্ত দুবে বললেন, বাংলার দুটো জেলা আর বিহারের ৩টে জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে হবে। কেন? বাংলা কি খেলার পুতুল নাকি? যার মর্জি হবে সে ভেঙে দিয়ে চলে যাবে! আর বাঙালি কি চুপ করে বসে থাকবে নাকি? আর বিজেপি তো বাঙালি-বিরোধী। তাই এসব বাংলা-বিরোধী কথা বলছে। সেই কারণেই আমরা পদত্যাগ চেয়েছি সুকান্ত মজুমদারের।
রাজ্যসভার প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ও সুকান্ত মজুমদারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, তৃণমূল সর্বশক্তি দিয়ে রুখবে বাংলা ভাগের চক্রান্ত। জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে বিজেপিকে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের কটাক্ষ, বারবার হেরে গিয়ে ঈর্ষায় ভুগছে বিজেপি। ৩ বছর টাকা আটকেও হেরে গেল। তাই এখন বাংলা ভাগের চক্রান্ত। সুকান্ত মজুমদারকে সবক শিখিয়ে দেব আমরা। শেষ কথা বলবেন বাংলার জনগণই।