অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: প্রচণ্ড দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা শহর শিলিগুড়ির। বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস করতেও পারছে না পড়ুয়ারা। তাই শনিবার ‘টক টু মেয়রে’ ফোন করে পাখার দাবি জানাল ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া। শুনেই মেয়র গৌতম দেব তাকে আশ্বাস দেন সোমবার তিনি নিজে গিয়ে ফ্যান লাগিয়ে আসবেন। অন্যদিকে শহরের নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক প্রবীণ নাগরিক। তাকে সোমবার পুরনিগমে ডেকে পাঠিয়েছেন মেয়র।
প্রতি শনিবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে ‘টক টু মেয়র’ করে থাকেন গৌতম দেব। এদিনও তিনি উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। বিভিন্ন বিষয় নিয়েই এদিন ফোন আসা শুরু করে। তবে অনুষ্ঠান শুরুর দিকেই এনজেপি এলাকার বাসিন্দা হাকিমপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়সী বণিক ফোন করে। তার অভিযোগ, বিদ্যালয়ে প্রচন্ড গরম কিন্তু ফ্যানের বড় অভাব। পড়তে বসে বেশ কষ্ট হচ্ছে। অনেক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যদি ফ্যানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তাহলে খুব ভালো হয়। তা শুনেই মেয়র তাকে একপ্রকার কথা দেন সোমবার নিজে গিয়ে বিদ্যালয়ে ফ্যান লাগিয়ে আসবেন। তা শুনে মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন রাখেন ওই ছাত্রী।
অন্যদিকে অনুষ্ঠান শেষের দিকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৫বছরের প্রবীণ নাগরিক প্রবীর সাহা ফোন করেন। তিনি শহরের নার্সিংহোম-সহ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তার অভিযোগ, “এখানে নার্সিংহোমগুলো চিকিৎসার নামে ব্যবসা চালাচ্ছে। তারা সঠিক চিকিৎসা তো করেই না। অথচ একগাদা বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় রোগীর পরিবারের কাছে। আমার স্ত্রীকে বলা হয় টিবি হয়েছে কিন্তু তাকে বাইরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতেই সেখানে চিকিৎসকরা বলেন তার কিছুই হয়নি। এদিকে স্ত্রী এর চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার প্রচুর টাকা খরচ হয়। আপনি এগুলোর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেন।” মেয়র গৌতম দেব তাঁর অভিযোগ শুনে তাঁকে সোমবার পুরনিগমে ডেকে পাঠান।