ছুটি পেলেই অনেকেরই মন চায় একবার দিঘায় ঘুরে আসি। অনেকেই কলকাতা থেকে গাড়িতেই দিঘা চলে যান। তবে এবার দিঘায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়ে গেল। দিঘার মূল প্রবেশদ্বার পর্যন্ত ফোর লেনের রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে সেই কাজ শুরুও হয়ে গেল। স্বস্তি পাবেন পর্যটকরা।
ওড়িশার সীমান্ত থেকে শুরু করে দিঘার ওয়েলকাম গেট পর্যন্ত ফোর লেনের রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই এই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করে প্রথম দফায় কাজ কিছুটা শুরু হয়েছে।
সেই সঙ্গেই দিঘা গেট পর্যন্ত এলাকায় কোথায় কতটা জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে। সেই অনুসারে জমি জবরদখল মুক্ত করা হবে। কারন রাস্তার ধারে জবরদখলের পরিমাণ বাড়তে থাকলে পর্যটকদের সমস্যা ক্রমশ বাড়বে।
এদিকে যারা জবরদখল করে রয়েছেন তাদের সেই জমি থেকে সরিয়ে দেওয়ার কাজ হবে। সেই সঙ্গেই তাদের পুনর্বাসন দেওয়া যায় কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। কাঁথি পুরসভা কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন, রাজ্য প্রশাসন দিঘাকে পুরোদমে সাজিয়ে তুলতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে।
এদিকে দিঘাতে ইতিমধ্যেই জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ চলছে। সেই মন্দির তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এবারের রথেই সেই মন্দিরের উদ্বোধন করা হতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে পরে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যায়নি।
আগামী দিনে এই জগন্নাথ মন্দিরেও প্রচুর দর্শনার্থী আসবেন। আর দর্শনার্থী মানে গাড়ি চলাচলের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকবে। সেকারণেই রাস্তা সম্প্রসারণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সংকীর্ণ রাস্তায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। সেই দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে রাস্তা চওড়া করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই কাজটাই শুরু হয়েছে।
তবে দিঘাতে এই বর্ষাতেও পর্যটকদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। একদিকে বৃষ্টি আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৈকতে চলছে নাচ। তবে পর্যটকদের সুবিধার জন্য প্রশাসনের তরফে যাবতীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে দিঘা যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে প্রচুর বাস যায়। সেই সঙ্গেই অনেকেই গাড়ি করে দিঘায় যান। আবার ইদানিং বাইকে চেপে লং ড্রাইভে দিঘা যাওয়ার একটা প্রবনতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাস্তা চওড়া হলে আখেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে। এতে আরও স্বস্তি পাবেন পর্যটকরা।